ইডি তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, নিজের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের মা মমতা দাস ও স্ত্রী সুকন্যা দাসকে ভুয়ো কোম্পানিতে ডিরেক্টর করেছিলেন জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক। এছাড়া বাড়ির এক পরিচারককেও ডিরেক্টর করেছিলেন তাঁর কোম্পানিতে। ওই পরিচারককেই কৃষি দফতরে গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য সুপারিশও করেছিলেন জোত্যিপ্ৰিয়। ইডি সূত্রের খবর, ওই পরিচারক গত ১৭ বছর ধরে বনমন্ত্রীর বাড়িতে কাজ করেন। ইডির কাছে ওই ব্যক্তির চঞ্চল্যকর বয়ানও রেকর্ড করেছে।
advertisement
ইডি অবশ্য জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ তিনটি কোম্পানির বিষয়ে জোত্যিপ্ৰিয় স্ত্রী ও মেয়েকে জিজ্ঞাসা করা হলে তাঁরা কোনওরকম যোগাযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু প্রাক্তন আপ্ত সহায়কই ইডি-কে জানিয়ে দেন, ওই তিনটি সংস্থার মালিক জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিক। এই তিন শেল কোম্পানি জোত্যিপ্ৰিয় কন্ট্রোল করতেন অভিযোগ ইডির।এই কোম্পানিগুলি কালো টাকা সাদা করার জন্য খোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ ইডির।
আরও পড়ুন: ২০ কোটি টাকা দু’টি ফার্মে! এ বার জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে টাকা সরানোর অভিযোগ তুলল ইডি
শনিবার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস ও বর্তমান আপ্ত সহায়ক অমিত দে-কে তলব করে ইডি। কারণ দু জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দু জনের বাড়িতে ইডি তল্লাশি করেছিল। অভিজিৎ দাসের মা ও স্ত্রীকে ডিরেক্টর কেন করা হয়েছিল? তাঁদের কী ভূমিকা ছিল? এই কোম্পানি গুলি কীভাবে কেন খোলা হয়েছে? সে বিষয়ে তাঁরা কী জানতেন? এই সব বিষয়ে তদন্ত করছে ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, এক সাক্ষী স্বীকার করে নিয়েছেন, রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বাকিবুরের ৬৮ লক্ষ টাকা তৎকালীন খাদ্য মন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল৷ শুধু তাই নয় আরেক জনের বয়ানে উল্লেখ, বাকিবুরের নির্দেশে ১২ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল মন্ত্রী জোত্যিপ্ৰিয় মল্লিককে। রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্যই এই কোম্পানি খোলা হয়েছিল বলে নিশ্চিত ইডি৷