এ দিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় নিজেও৷ সেখানেও দেখা যায়, তাঁর মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা রয়েছে৷ তবে এ দিনও জ্যোতিপ্রিয়র জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেনি আদালত৷ এই মামলার পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার৷ সেদিন ই়ডি তাদের বক্তব্য জানাবে৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলে গিয়েও বিজেপিতে ফিরলেন বিধায়ক সৌমেন, ভোটের আগে ধাক্কা খেল শাসক দল?
advertisement
আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে এ দিন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী দাবি করেন, প্রাক্তন মন্ত্রীর ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে৷ তাঁর শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে বেশি৷ দুটি কিডনিই স্বাভাবিক ভাবে কাজ করে না৷ একটি কিডনি ৭৪ শতাংশ এবং অন্যটি ২৬ শতাংশ কাজ করে৷ বালুর আইনজীবী আরও দাবি করেন, জেলে বন্দি হওয়ার পর জ্যোতিপ্রিয়র ওজন ২৫ কেজি কমে গিয়ে ৩৭ কেজিতে এসে দাঁড়িয়েছে৷
যদিও জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারকে বলেন, মন্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রা ঠিকই রয়েছে৷ সুগারের মাত্রাও খুব উদ্বেগজনক নয়৷
বিচারকের এই মন্তব্য শুনে জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবী তাঁর হয়ে বলেন, আমি কি তাহলে অসুস্থতার ভান করছি? আমি কি জানতাম আদালতে প্রথম দিন এসেই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ব? আমার ওজন এখন ৩৭ কেজি হয়ে গিয়েছে৷ সিকেডি (ক্রনিক কিডনি ডিজিজ) থ্রিবি স্টেজে রয়েছে৷
পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যদি এতই অসুস্থ হবেন তাহলে তাঁকে পিজি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? ইডি-র আইনজীবী আরও অভিযোগ করেন, উনি একবার পিজি হাসপাতালে ভর্তি হলে আর বেরোতে চান না৷ অন্তত ১৫ দিন থেকে যান৷ একমাত্র আদালত থেকে রিপোর্ট চাওয়া হলে তখন বেরিয়ে আসেন৷