ইডি সূত্রের খবর, ওই ৯ কোটি টাকা সংক্রান্ত নথি আয়কর দফতরের কাছ থেকে চাওয়া হবে। কারণ, জ্যোতিপ্ৰিয় জিজ্ঞাসাবাদের সময় দাবি করেছেন, ওই ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তার আয়কর জমা দিয়েছেন তিনি। ইডি মনে করছে, এভাবেই আসলে বাকিবুরের কাছ থেকে আসা কালো টাকা আসলে সাদা করেছেন মন্ত্রী। বিষয়টি স্পষ্ট করতেই এবার আয়কর দফতরের কাছ থেকে তথ্য চাওয়ার ভাবনা।
advertisement
৯ কোটি টাকার বিষয়টি সামনে আসার পরে একাধিক প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের৷ জ্যোতিপ্রিয় যে বাকিবুরের কাছ থেকে এই ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, বাকিবুর কিংবা জ্যোতিপ্রিয়ের এত কোটি টাকা আয়ের উৎস কী? কোথা থেকে এসেছিল এই কোটি কোটি টাকা? আয়কর দফতরে জমা দেওয়া নথি থেকে সেই সব তথ্য পেতে চাইছেন তাঁরা৷
সূত্রের খবর, ইডির তদন্তে উঠে আসা তিনটি সন্দেহভাজন শেল কোম্পানির সঙ্গে নিজের বা নিজের পরিবারের যোগ জেরায় অস্বীকার করেছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী৷ তবে, জানিয়েছিলেন, বাকিবুর রহমানের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি৷ সেই টাকা তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের অ্যাকাউন্টে রাখার পরে নিয়ম মেনে আইকর রিটার্নও দিয়েছিলেন।
কিন্তু, ইডির দাবি, হিসাব বহির্ভূত টাকা আয়কর রিটার্নে ঋণ হিসাবে দেখালেই অভিযুক্তের অপরাধ কম হয়ে যায় না। নিয়ম অনুসারে, ঋণের টাকা আয়করে দেখানো যায় না। একমাত্র বৈধ টাকাই আয়করে দেখানো যায়। এক্ষেত্রে, বিষয়টা ঠিক কেমন ছিল, সেটাই আয়কর দফতরের নথি যাচাই করে দেখতে চাইছে ইডি৷