দেশের বাম রাজনীতিতে তাঁর সমতূল্য নেতা এখনও বিরল। শুক্রবার সেই কিংবদন্তী নেতা জ্যোতি বসুর ১০৯তম জন্মদিনে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে দল। CPI(M) কমরেড জ্যোতি বসুকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে স্মরণ করছে। দলের পক্ষ থেকে ট্যুইটারে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখা হয়, "জ্যোতি বসু সিপিআই(এম), বাম আন্দোলন এবং ভারতের একজন মহান নেতা ছিলেন। সত্তর বছরের জীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তাঁকে দেশের সবচেয়ে বিশিষ্ট বাম নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
advertisement
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে খবর, জন্মদিনেই তাঁর নামাঙ্কিত গবেষণা কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হবে। ওই কেন্দ্রের নাম হবে ‘জ্যোতি বসু কেন্দ্র’ (Jyoti Basu Birth Anniversary)। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্মরণে এই গবেষণা কেন্দ্রটি তৈরির কাজ করবে ‘জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ’ নামে একটি সংস্থা। এই কেন্দ্রে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহৃত সামগ্রীর প্রদর্শনী কক্ষ যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও রাজ্যস্তরে কমিউনিস্ট এবং বামপন্থী রাজনীতি সংক্রান্ত দলিলের ভাণ্ডার। যা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের গবেষকদের কাজ করার জন্য খোলা থাকবে।
শুধু তাই নয়, মৃত্যুর ১২ বছর পরেও ভারত বাংলাদেশকে মিলিয়ে দিচ্ছেন প্রয়াত প্রাক্তন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা (Jyoti Basu Birth Anniversary)। জ্যোতি বসুর জন্মদিন উপলক্ষে বাংলা ওয়ার্ল্ডওয়াইডের শ্রদ্ধার্ঘ্য আন্তর্জাতিক মাধ্যমের মত বিনিময়ের অনূষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘জ্যোতি বসু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশের মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান।
পশ্চিমবঙ্গের টানা ২৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বাংলাদেশের ছিল নাড়ীর টান। বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনার গাঁ উপজেলার বারদী গ্রামে চৌধুরী পাড়ায় জ্যোতি বসুর পৈতৃক ভিটে এখন পাঠাগার। মুক্তিযুদ্ধের সময় একাধিকবার মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে তাঁদের উৎসাহিত করেছেন পশ্চিমবঙ্গের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Ex Chief Minister Jyoti Basu)। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনবার (১৯৮৭, ১৯৯৭ এবং ১৯৯৯) বাংলাদেশের টানে সেখানে উড়ে গিয়েছেন কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু। গঙ্গার জল বন্টন এবং তিনবিঘা করিডর চুক্তি করে ভারত-বাংলাদেশ বন্ধন সুদৃঢ় করেছেন জ্যোতি বসু।