বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম জানান, 'আমরা প্রথম সিসিটিভি ফুটেজ দেখব কোন কোন আইনজীবী ওই দিনের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। নির্দিষ্ট করে তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। নির্দিষ্ট করে কোনও আইনজীবীকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়নি। ওই আইনজীবীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখব।
advertisement
রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এজলাসে ডেকে পাঠাল বিশেষ বেঞ্চ। বার কাউন্সিল রাজ্য এবং বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া কোনও প্রতিনিধি নেই। একক বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে হবে রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। এটা খুবই অসুবিধাজনক কাজ।
আরও পড়ুন: ১২ দিনে সাড়ে ৫ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে যোশীমঠ! ISRO -র ছবিতে সত্যি ফাঁস! মুহূর্তে ভাইরাল
এটা একটা দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ। যেখানে হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এগিয়ে আসেনি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করণের কাজে সাহায্য করতে। অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দিয়েছেন মুখবন্ধ খামে। তবে তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে তা দেওয়া হয়নি।
বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, "যা হয়েছে খুবই খারাপ ঘটনা। আমাদের সবাইকে চিহ্নিত করা দরকার। তবে কোনও ভুল ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এসে রিপোর্ট জমা দেন।"
প্রসঙ্গত, এই মামলার তদন্তে রেজিস্ট্রার জেনারেল সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে কোলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্টান্ট কমিশনারকে চিঠি দেন। তার ভিত্তিতে সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থির চিত্র চেয়ে পাঠানো হয়। সেই সমস্ত তথ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল আজ আদালতে দেন।
কোলকাতা পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ ইস্যু। পুলিশ সুপারের হয়ে নোটিশ গ্রহণ করছেন রাজ্যের গভর্নমেন্ট প্লিডার। কোর্টের বাইরে বিচারপতি নামে পোস্টার কারা দিয়েছেন খুঁজে বার করতে কোলকাতা পুলিশকে নির্দেশ। বেনামি পোস্টার কোথায় প্রিন্ট করা হয়েছে? কার নির্দেশে প্রিন্ট? খুঁজে বার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাই কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন,
হাই কোর্ট বার লাইব্রেরি, হাইকোর্ট ইনকরপোরেট ল সোসাইটি এবং রাজ্য বার কাউন্সিলকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কোনও পোস্টার, ব্যানার হাইকোর্টের ভিতরে বা হাইকোর্ট চত্বরে দেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
আইনজীবী তাপস মাইতি রেজিস্ট্রার জেনারেলকে একটি চিঠি পাঠান।
যিনি ওই এজলাসের বাইরে ৯ জানুয়ারি বিক্ষোভকারীদের নাম জানান। সব আইনজীবীরাই বারের সদস্য। কুনাল ঘোষ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মন্তব্য করেন বলেও অভিযোগ করা হয়। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী রানা মুখোপাধ্যায় বার এসোসিয়েশন প্রাক্তন সম্পাদক, দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, 'ভবিষ্যতে এমন না হয় তা দেখা হবে। যদিও বিচারপতি শিবাঙ্গনম বলেন আপাতত এই মামলা চলবে।'
অর্ণব হাজরা