এদিন সাংবাদিকদের উত্তরে কুণাল বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট সব বিবেচনা করে রায় দিয়েছেন, তার উপরে নতুন কোনো মন্তব্যের অবকাশ থাকে না। সর্বভারতীয় তৃণমুল কংগ্রেস বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা আছে৷’’ তাঁর দাবি, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের বিরোধী দলকে অক্সিজেন দিচ্ছিলেন, তিনি সেটারই প্রতিবাদ করেছেন৷
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার অভিযোগে লাগাতার আন্দোেলন, এবার কুস্তিগীরদের পাশে দাঁড়ালেন মমতা
advertisement
এরপরেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রণাম জানিয়ে কুণালের মন্তব্য, ‘‘জাস্টিস গাঙ্গুলিকে আমার তরফ থেকেও প্রণাম, শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনও বিরোধ নেই। মামলার বিচার করতে গিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি কোনও ব্যবস্থা নিন, সেটা আমরা ডিফেন্ড করতে যাব না। তবে উনি তাঁর চেয়ারে বসে আমার দল, দলনেতা সম্পর্কে অবাঞ্ছিত মন্তব্য করেছেন, যা বলা যায় না, আমি একজন দলের কর্মী হিসেবে সেটুকু বিরোধিতা করেছি।’’
প্রসঙ্গত, এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শোনার পরে নিজের এজলাসে বসেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন।’’ কুণাল ঘোষকে ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা হিসাবে উল্লেখ করে বিচারপতির মন্তব্য়, ‘‘কুণাল ঘোষকে আমার প্রণাম জানাবেন। তিনি যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তা পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। তিনি এত বড় ভবিষ্যৎদ্রষ্টা তা আমার জানা ছিল না। তাঁর পুরো কথা মিলে গিয়েছে।’’
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সাক্ষাৎকারের তর্জমা বিচার করেই শুক্রবার ঐতিহাসিক নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।