দিন কয়েক আগেই বিজেপির সল্টলেক কার্যালয়ে কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করা কৌস্তভ বাগচীর যোগদানের পরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিতপূর্ণ একটি মন্তব্য করে বলেছিলেন, লোকসভা ভোটের আগে যোগদান কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটির তিনি কনভেনর। আগামী ৭ মার্চ যোগদান পর্বের একটি উল্লেখযোগ্য দিন হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়! ভোটে দাঁড়াবেন, কোন দলে? স্পষ্ট করলেন সব
advertisement
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পর পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিচারপতির পদ থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতির ময়দানে আসার ইচ্ছেপ্রকাশ করার পরপরই জল্পনা ছড়িয়েছে, তাহলে শুভেন্দুর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েই? এই প্রশ্নেই এখন সরগরম ভোটের বাংলা।
আরও পড়ুন: ‘কোটি টাকার ডিল!’ বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিস্ফোরক অনুপম হাজরা! নিশানায় কোন প্রার্থী?
এদিকে নিউজ 18 বাংলা-কে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন,’ প্রার্থী তালিকায় অনেক চমক থাকবে। প্রথম পর্যায়ে না থাকলেও প্রার্থী তালিকার দ্বিতীয় পর্যায় গুলি থেকে অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত ব্যক্তির নামও থাকবে।’ শুভেন্দু- সুকান্তর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগামী মঙ্গলবারই বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। বৃহস্পতিবারই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে বিশেষ সূত্রের খবর। আর বৃহস্পতিবারই শুভেন্দু অধিকারীর ‘যোগদানের উল্লেখযোগ্য দিন’ বলে মন্তব্যের সেই ৭ই মার্চ। তাই দুইয়ে দুইয়ে চার করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, তৃণমূলের তরফে কুণাল ঘোষ বলেন, ”রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন, তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা।
তবে বিশেষ করে এই পেশার কেউ রাজনীতিতে এলে, তাঁর আগের পেশাগত সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে নিরপেক্ষতাজনিত প্রশ্ন উঠতেই পারে, সেটাও স্বাভাবিক। আপনি তৃণমূল বিরোধী হিসেবেই ওসব বলেছেন, প্রমাণ হবে। যে দলেই যান, সেখানে দুর্নীতি বা অন্য কোনও অভিযোগ থাকবেই। সেগুলো তখন মেনে নিতে পারবেন তো?”