২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির নতুন মামলায় এই নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ যে দুর্নীতিকে এ দিন ডিজাইনড কোরাপশন বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ মামলাকারীর অভিযোগ, মূলত চারটি জেলা বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে এই দু্র্নীতি হয়৷ ২০২০ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এই জেলায় কোনও শূন্যপদ নেই বলে চাকরিপ্রার্থীদের জানানো হয়৷ বাধ্য হয়েই এই চার জেলার কোনও স্কুলে যাঁরা চাকরি নিতে ইচ্ছুক ছিলেন, তাঁদের দূরবর্তী কোনও জেলার স্কুল বাছতে হয়৷
advertisement
আরও পড়ুন: মোদিকে ধন্যবাদ মমতার, জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রীর ইন্ডিয়া মন্তব্যে জোর বিতর্ক
মামলাকারীরদের অভিযোগ, এরকমই দূরের জেলার স্কুল বাছার পরই বিস্ময়কর ভাবে তাঁরা জানতে পারেন, ওই চার জেলায় সতেরো দিন পরই শূন্যপদ দেখানো হয় এবং চারশো জন চাকরিপ্রার্থী ওই চার জেলায় নিযুক্ত হন৷ পছন্দের স্কুলে নিয়োগের বিনিময়ে প্রত্যেকের থেকে এক লক্ষ টাকা করে মোট চার কোটি টাককার লেনদেন হয়েছে বলে আদালত এ দিন সন্দেহ প্রকাশ করেছে৷ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও আশঙ্কা, দালালের প্রাপ্য ধরলে এই দুর্নীতির অঙ্ক আরও বাড়বে৷
এই সমস্ত অভিযোগ শুনেই সিবিআই এবং ইডি-কে যৌথ ভাবে এই পরিকল্পিত দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিচারপতির নির্দেশ, আজই দু জন সিবিআই আধিকারিক জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন৷ মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা না করলে তাঁকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়ার জন্যও সিবিআই এবং ইডি-কে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি৷
এই মামলার তদন্তে তিনি যে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করবেন না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারকেও তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর নির্দেশ, আজ গোটা জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সিবিআই মোবাইল বন্দি করবে৷ আগামিকাল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিওগ্রাফি করা হবে৷ রাত বারোটা পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনে তার পর সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যেতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে কীভাবে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল, তার সূত্র ধরে তদন্ত করবে ইডি৷