বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্দেশ দেন গ্রুপ ডি মামলায় । ওই নির্দেশের অন্য অংশের সঙ্গে দুটি অংশ ছিল এমন, সিবিআই-এর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত সুবীরেশ ভট্টাচার্য তাঁর ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবে না। মাস্টার ডিগ্রি এবং পিএইচডি ২) কাদের অঙ্গুলিহেলনে এতবড় নিয়োগ দুর্নীতি তাদের নাম বলতে হবে সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে তদন্তকারীদের সামনে। নাম না বললে আদালত ধরে নেবে সুবীরেশই কিংপিন।
advertisement
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই সারদা, রোজভ্যালি নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের! তোলপাড় বাংলা
সেক্ষেত্রে সুবীরেশের সম্পত্তি থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষয় তি উদ্ধারের অধিকার থাকবে। এই দুই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের। যদিও মামলা ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন থাকছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার পর্যবেক্ষণে স্পষ্ট করেন, একা সুবীরেশ ভট্টাচার্যের পক্ষে এতবড় নিয়োগ দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। নিশ্চিত আড়ালে অন্য কেউ আছে। তাদের খুঁজে বার করতে হবে সিবিআই-কে। সুবীরেশ ভট্টাচার্য এসএসসি চেয়ারম্যান থাকাকালীন দেওয়া ৩৫০০ বেশি সুপারিশ ভুয়ো। যা ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন: কী ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছে অনুব্রতকে! আইনজীবীদের গোপনে যা জানালেন কেষ্ট, তুমুল চাঞ্চল্য
এই চাকরি বাতিল এখনও বহাল। সুপ্রিম কোর্ট এখনও বাতিল চাকরি ফেরানোর নির্দেশ দেয়নি। গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় পরস্পর বিরোধী হলফনামা দিয়েছে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তাই যাদের সময়কালে এসএসসি চাকরি দুর্নীতির অভিযোগ বেশি, সেই সময়কালের এসএসসি চেয়ারম্যান এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সভাপতি জেলবন্দী। লক্ষ্মী টুংগা মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, 'অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ শুধুমাত্র সুবীরেশ ভট্টাচার্য সম্পর্কিত নির্দেশের জন্য। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, চাকরি বাতিল সহ বাকি নির্দেশ বহালই থাকছে।'