চাকরি প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপারিশপত্র পেয়েছেন। কিন্তু সুপার নিউমেরারি পোস্ট ঘিরে আইনি জটিলতা থাকায় চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না। এদিকে বয়সও বেড়ে যাচ্ছে৷
এদিন বিচারপতিকে এক চাকরিপ্রার্থী বলে ওঠেন, ‘‘স্যর আপনি আমাদের আইডল৷ আমরা কোনও উপায় না দেখে আপনার কাছে এসেছি৷ আপনি অনেককে সাহায্য করেছেন…আমাদের একটা ব্যবস্থা করে দিন৷ আমরা আর পারছি না৷’’
advertisement
আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! হঠাৎই বদলে গেল গতিপথ…বড়দিনে বড়সড় ভোলবদলের আশঙ্কা আবহাওয়ার
চাকরিপ্রার্থীদের কথা মন দিয়ে শোনেন বিচারপতি৷ সব প্রশ্নের ধীরে ধীরে উত্তরও দেন৷ দেন পরামর্শ৷ জানান, ‘‘আমি আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল৷ যদি অর্থের সমস্যা থাকেন, হাইকোর্টে লিগাল এইড রয়েছে৷ সেখানে আবেদন করুন, আইনজীবী চান, তিনিই আপনাদের মামলার বিষয়ে সাহায্য করতে পারেন৷ আমি চাকরি দেওয়ার কেউ নই৷ চাকরি দেন মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷’’
বিচারপতি জানান, এ বিষয়ে সাহায্য করা তাঁর কর্মক্ষেত্রের পরিসরের বাইরে৷ একমাত্র উপযুক্ত আইনজীবীই তাঁদের (চাকরিপ্রার্থীদের) পথ দেখাতে পারেন৷ তিনি জানান, তিনি চান, যাঁরা যোগ্য, তাঁরা চাকরি পান৷
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতি বলেন, “যাঁরা এতদিন ধরে রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন। ওখানে না বসে থেকে আদালতে চলে আসুন না। ১০০০ দিন ধরে রাস্তায় বসে থেকে কী হবে।” বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, রাস্তায় বসে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের কি আদৌ প্যানেলে বা ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে? তাহলে তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন? তিনি আরও বলেন, ‘‘আদালতে শত শত মামলা হয়, বহু মানুষ বিচার পান। অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: ‘দিদি আপনার পা কেমন আছে?’, দেখা হতেই প্রথম প্রশ্ন মোদির, মমতাকে ঘুরিয়ে দেখালেন দফতরও
আরেকজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘‘স্যর আমরা এই আন্দোলন করার জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে থেকেছি৷’’ উত্তরে বিচারপতি বলেন, ‘‘অনেক সময় দুর্বৃত্তরা বাইরে থাকবে বলে ভাল মানুষ জেলে থাকেন, জেলে থাকাকে অসম্মানজনক ভাববেন না৷’’ চাকরিপ্রার্থীদের লড়াই না থামানোর বিষয়ে পরামর্শ দেন বিচারপতি৷ শেষে বলেন, ‘‘ভাল থাকবেন৷’’