নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে রাতভর রাস্তাতেই বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ চলছিল স্লোগান, গান৷ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হওয়ায় পুলিশকর্মীরাও চেয়ারে খানিক নিশ্চিন্ত হয়েই বসেছিলেন৷ আচমকাই ভোররাত পৌনে চারটে নাগাদ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ জাতীয় সঙ্গীত শুনে তড়িঘড়ি উঠে দাঁড়ান চেয়ারে বসে থাকা পুলিশকর্মীরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের সূত্রে অবশ্য খবর, পুুলিশকর্মীদের চেয়ার ছেড়ে দাঁড় করাতেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়৷
advertisement
যদিও জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে কযর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জলের বোতল, বিস্কুট দেওয়া হয়৷ যদিও সেসব ফিরিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা
আরও পড়ুন: অভিজিৎকে গো ব্যাক স্লোগান জুনিয়র চিকিৎসকদের, ফিরে যেতে বাধ্য হলেন বিজেপি সাংসদ
তবে জাতীয় সঙ্গীতের আগে অবশ্য অন্য গানও ধরেন বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ লালবাজারের অদূরে দাঁড়িয়েই সমস্বরে ‘পুলিশ চোরের প্রেমে পড়েছে’, এমন গানও গাইতে শোনা যায় জুনিয়র চিকিৎসকদের৷
সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারিকে নিজেদের নৈতিক জয় বলে মেনে নিলেও নগরপাল বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ নিজেদের ঘোষণা মতো সোমবার সারারাত বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের উপরে লালবাজারগামী রাস্তায় বসে থাকেন তাঁরা৷ রাতেই বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্তরা৷ জুনিয়র চিকিৎসকরা নিজেদের দাবিতে অনড় থেকে জানিয়েছেন, নগরপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে বিনীত গোয়েলকে৷
সোমবার লালবাজারের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের মিছিল ব্যারিকেড করে আটকে দেয় পুলিশ৷ এর পরই রাস্তার উপরেই বসে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ তাঁরা দাবি করেন, হয় বিনীত গোয়েলকে এসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে হবে, নয়তো পদত্যাগ করতে হবে৷ পাল্টা পুলিশের পক্ষ থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রস্তাব দেওয়া হয়, প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে নগরপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা নিজের দাবি দাওয়া জানাতে পারেন৷
বিক্ষোভকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা সেই প্রস্তাব মানেননি৷ দুপুর দুটোর পর থেকে রাস্তার উপরেই বসে থাকেন তাঁরা৷ তখনই তাঁরা হুঁশিয়ারি দেন, প্রয়োজনে সারা রাত তাঁরা রাস্তাতেই বসে থাকবেন৷