কলকাতা: প্রয়াত অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। সূত্রের খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।
advertisement
সিনেমার জগতে সাফল্যের পর দীর্ঘদিন বড় পর্দা থেকে দূরে ছিলেন জয়। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়ান তিনি৷ সেখানকার বর্তমান সাংসদ তথা টলিউড অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জয়। ২০১৯ সালে উলুবেড়িয়া থেকে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল সাংসদ সাজদা আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। ২০২১ সালের নভেম্বরে, অভিনেতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন তিনি আর বিজেপির প্রতিনিধিত্ব করবেন না৷ তবে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রয়াত বিজেপি নেতা-অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়! গেরুয়া শিবিরে শোকের ছায়া! কী হয়েছিল জয়ের জানেন?
আর জয়ের প্রয়াণের খবর পেতেই শোকে মূহ্যমান টলিউডের একটা বড় অংশ। জয়ের অভিনয় জীবনের সমসামিয়ক ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ও। জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি যেমন শোক প্রকাশ করেছেন, তেমনই কেন এই পরিণতি জয়ের, তা নিয়েও মন্তব্য করেছেন।
এক সংবাদমাধ্যমে শতাব্দী সাফ বলেন, ”নিজের জীবনটা একেবারে অগোছালো করে ফেলেছিল জয়। শুনতাম, নেশায় ডুবে গিয়েছিল ও। ফলে আর শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে পারছিল না। আমার মনে হয়, নিজের উপর অত্য়াচার করেছে জয়। না হলে তো জয়ের এটা চলে যাওয়ার বয়স আদৌ নয়।”
এক সঙ্গে সিনেমায় অভিনয় করেছেন জয় ও শতাব্দী। সে সময় দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও পরে রাজনীতিতে আসার পর দুজনের মধ্যে তিক্ততা শুরু হয়। শতাব্দী বলেন, ”জয় যখন আমার বিপক্ষে লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিল, তখন অনেক আজেবাজে কথা বলত। সেই সময় থেকেই ওর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। পরে অবশ্য ফের যোগাযোগ হয়েছিল, কথা হয়েছিল।”