কাজ শুরুর প্রথম ধাপে শুরু হল জিও টেকনিক্যাল সয়েল ইনভেস্টিগেশন। মাটির ৬০ গভীরতায় চলছে পরীক্ষা।প্রতি ১.৫ মিটার ধাপের মাটির চরিত্র বোঝা হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প নিয়ে রেল-রাজ্য বৈঠক হয়েছে। এসপ্ল্যানেড অংশে সরানো হচ্ছে বিধান মার্কেটকে। মাঝেরহাট থেকে মোমিনপুর হয়ে ধীরে ধীরে মাটির নীচে যাবে মেট্রো। মাটির নীচে স্টেশন হবে মোমিনপুর, খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড।
advertisement
জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড অবধি এই পথের দূরত্ব প্রায় ১৪.২১৫ কিমি।ইতিমধ্যেই ময়দান এলাকা ও প্রেস ক্লাবের পাশে মনোহর দাস লোহিয়া জলাশয়ের কাছে মাটি পরীক্ষার কাজ করা হল। আপাতত তা পাঠানো হয়েছে ল্যাবরেটরিতে। জোকা বিবাদী রুটে মোমিনপুর থেকে মাটির নীচে ঢুকে পড়বে মেট্রো রেল৷ ধর্মতলা অঞ্চলে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজের জন্য ময়দান মার্কেট সরিয়ে ফেলতে হবে বলেই মনে করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ৷ কারণ সুড়ঙ্গ তৈরির সময় কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চায় না তারা৷
আরও পড়ুন-ত্রিপুরায় বাবুলের সামনে তাঁরই গান বাজাল বিজেপি, তারপর...
সূত্রের খবর, মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে সায় দিয়েছে রাজ্য সরকার৷ সেক্ষেত্রে ময়দান মার্কেটকে সরাতে হলে অস্থায়ী ভাবে কার্জন পার্কের পাশে ব্যবসায়ীদের জায়গা করে দেওয়া হতে পারে বলে খবর৷ সিদ্ধান্ত হয়েছে, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা ওই এলাকা পরিদর্শনের পরই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ পাশাপাশি পুনর্বাসন নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে৷ছাড়াও মেট্রো রেলের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, ময়দান এলাকায় প্রেস ক্লাবের পাশে থাকা পুকুরটিও জলশূন্য করতে বলা হয়েছে৷
আরও পড়ুন-রক্তচক্ষু নিয়ে ফুঁসছে নিম্নচাপ! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন! কোন কোন জেলায় দুর্যোগ? পূর্বাভাস...
এ ছাড়াও ওই এলাকায় থাকা রাজস্থান ক্লাবটিও সরিয়ে ফেলতে হবে বলে মেট্রো রেলের তরফে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।জমি জটে দীর্ঘদিন আটকে ছিল জোকা- বিবাদী বাগ মেট্রো রুটের কাজ৷ সেই জট কাটিয়ে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে৷ পরবর্তী পর্যায়ে বিবাদী বাগ পর্যন্ত অংশের কাজও দ্রুত শেষ করাই মেট্রো রেল এবং রাজ্য প্রশাসনর মূল লক্ষ্য৷ ফলে সব পক্ষই নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে এগোতে চাইছে৷