রবিবার সন্ধেয় দলবেঁধে জেএনইউয়ের তিনটি গার্লস হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। মাথা ফাটে, হাত ভাঙে ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের। আহত হন বহু পড়ুয়া ৷ আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের ওপর হামলার ঘটনায় এবিভিপির দিকেই অভিযোগের আঙুল ওঠে। এবার JNU-এ হামলার ঘটনায় সাজানো তত্ত্ব দিলীপ ঘোষের গলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সাজানো। হামলার নেপথ্যে পড়ুয়ারাই। জেএনইউ ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষের আঘাতকে কটাক্ষ করে বলেন, রক্ত নয়, ঐশীর মাথায় রক্ত ছিল রং। বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে নয়া বিতর্ক। এর আগে জেএনইউ-তে পড়ুয়াদের উপর আক্রমণের ঘটনায় ‘কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় এসে গিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ ৷ একইসঙ্গে তিনি সেবার এও বলেছিলেন, 'গত তিনবছর নির্বাচন বন্ধ করেছিল মারপিটের জন্য, মেয়েদের কাপড় ছিঁড়ে দিয়েছিল৷ বিদ্যার্থী পরিষদের ছেলেদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে৷ তখন মমতার কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? এটা ঠিক যে কমিউনিস্টদের মারা শুরু হয়েছে এ দেশে৷ তাদের এটা পাওনাই আছে ৷ তারা যা ব্যবহার করেছে, এটা অস্বাভাবিক নয়৷'
advertisement
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হঠাৎ করেই জেনএনইউ-তে পড়ুয়াদের উপর হামলার দায় নিয়ে আসরে নামে একেবারে আনকোরা এক সংগঠন। হিন্দু রক্ষা দলের সভাপতি পিঙ্কি চৌধুরীর একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমের হাতে আসে। দেশবিরোধীদের শিক্ষা দিতেই সংগঠনের সদস্যরা জেএনইউতে হামলা চালায় বলে দাবি করা হয়। হিন্দু রক্ষা দলের এই কমিটি দাবি কী সত্যি? অভিযোগ উঠছে, আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপিকে আড়াল করতেই এই সংগঠনকে সামনে আনার ছক? সোশাল মিডিয়াতেও একই অভিযোগের ঝড়।