রবিবার সন্ধেয় দলবেঁধে জেএনইউয়ের তিনটি গার্লস হস্টেলে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, এর পিছনে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। যা তারা মানতে নারাজ। তা হলে এরা কারা?
জেএনইউয়ে এই হামলার ঘটনায় দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড়। উঠছে একাধিক প্রশ্নও। ভর সন্ধেয় হামলার সময় গার্লস হস্টেলে আলো কেন নেভানো ছিল? যাতে হামলাকারীদের চিনতে না পারা যায়? তা হলে কি পরিকল্পনা করেই হামলা? দিল্লির পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাতে। সেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জেএনইউয়ের পড়ুয়াদের দাবি, হস্টেল থেকে বার বার পুলিশকে ফোন করা হয়। কিন্তু, তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কেন? বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরাই বা কোথায় ছিলেন ?
এই প্রশ্নও তুলছেন আক্রান্ত পড়ুয়ারা। জেএনইউয়ের হামলার নিন্দায় বিরোধীরা তো সরবই। নিন্দা করেছেন জেএনইউয়ের দুই প্রাক্তনী, বিদেশমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীও। অর্থাৎ, ঘরে-বাইরে সমালোচনা। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্ত শুরু করেছে।
রবিবার রাতেই, হামলার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। পুলিশকে নির্দেশ দেন, দ্রুত পদক্ষেপ করতে। সোমবার তাঁর কাছে গিয়ে ঘটনার কথা জানান জেএনইউয়ের উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রার।