অমৃতাভর প্রকৃত বয়স নির্ণয় করতেই এই পরীক্ষা করা হলো। জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা কাণ্ডে মৃত্যু না হওয়া সত্ত্বেও রেলকে ঠকিয়ে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অমৃতাভ চৌধুরী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত অমৃতাভর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতেই তার এবং তার বাবার ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হল বৃহস্পতিবার। কারণ জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনার পর ভুয়ো ডিএনএ রিপোর্ট দেখিয়ে রেলের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে অমৃতাভ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। অমৃতাভকে গ্রেফতার করার আগে তাই তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চান তদন্তকারী অফিসাররা।
advertisement
অন্য দিকে অমৃতাভর বয়স নিয়েও বিভ্রান্তি রয়েছে। কারণ এখন যে অমৃতাভকে সিবিআই জেরা করছে তাকে দেখে সিবিআই কর্তাদের মনে হয়েছে তার বয়স তিরিশের আশেপাশে। যদিও অভিযুক্তের জন্ম শংসাপত্র অনুযায়ী তার বয়স ৩৯ বছর। জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে যে অমৃতাভ মৃত বলে দাবি করা হয়েছিল হিসেব মতো তার বয়সও ৩৯ হওয়ার কথা। কিন্তু অমৃতাভকে দেখে সিবিআই গোয়েন্দাদের মনে হয়েছে তার বয়স অনেক কম। সেই কারণেই এই অসিফিকেসন টেস্ট করা হল।
মানুষের শরীরে বিভিন্ন হাড় যেখানে জোড়া লাগে সেই জায়গার এক্স রে করে এই 'অসিফিকেশন' পরীক্ষা করা হয় বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। তবে কারও বয়স ২৯ এর বেশি হলে এই পরীক্ষা করেও সঠিক বয়স নির্ণয় করা কঠিন বলেই মত চিকিৎসকদের। এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে খবর, ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে প্রায় ২ মাস লেগে যাবে। কিন্তু 'অসিফিকেসন' পরীক্ষার ফল দু'দিন পরেই জানা যাবে। যতদিন না অমৃতাভর পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে বা তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততদিন পুলিশের সাহায্য নিয়ে অভিযুক্তকে কড়া নজরে রাখছে সিবিআই।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়
