৩ জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করে জানা গেছে নাজিউরের মত আরও বেশ কিছু সংখ্যক জঙ্গি জামিন পেয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেল থেকে। প্রাথমিক একটি তালিকা পেয়েছেন এসটিএফ গোয়েন্দারা। সেখানে নাজিউর ছাড়াও আবুল কালাম আজাদ, মাহফুজ রহমান, সালাউদ্দিন ভুইয়াঁ-র নাম আছে। সূত্রের খবর, এরা প্রত্যেকেই জেএমবি ও হেফাজতে ইসলাম জঙ্গি।তাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী এলাকায় খিলাফতের আদর্শ ছড়িয়ে দিতেই নেওয়া হয়।
advertisement
২০১৯-এ ধৃত নাজিউর আনসারুল্লা বাংলার সদস্য হিসেবে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানো শুরু করে আনসারুল্লা বাংলা আলকায়েদার শাখা। আই এম বি ছাড়াও আরও দুটি জঙ্গি সংগঠনের নাম উঠে এসেছে তদন্তে, আনসারুল্লা বাংলা (আলকায়দার শাখা ) ও হেফাজতে ইসলামি। সূত্রের খবর JMB -জঙ্গি নাজিউর এর আরব যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। মোবাইল না পেলেও সেলিম মুন্সির ভারতীয় ফোন নম্বর পুলিশের হাতে এসেছে। সেই নম্বরের সূত্র ধরে কল রেকর্ড উদ্ধার করার চেষ্টায় রয়েছে এসটিএফ। সেই ফোন অবশ্য শনিবার রাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
.
উল্লেখ্য, রবিবারই হরিদেবপুর থানা এলা কা থেকে বাংলাদেশের সন্দেহভাজন তিন জেএমবি জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। এরপরই ধৃতদের ডেরায় হানা দিয়ে বেশ কিছু তথ্য হাতে পায় গোয়েন্দারা। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ২৬ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ধৃত তিনি জঙ্গির মধ্যে একজন শেখ সাব্বির গত মাসের ১০ তারিখে পা-র ক্ষত নিয়ে এসেছিলেন বেহালার এক চিকিৎসক ডক্টর গৌরাঙ্গ হালদার-এর চেম্বারে। পেশায় রিকশাচালক পরিচয় দিয়ে দিন পনেরো চিকিৎসা করিয়েছে শেখ সাব্বির। আজ ধৃত জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বড়সড় সূত্র বের করার চেষ্টা করতে চলেছে এন আই এ। বাংলার কোথাও নাশকতার ছক তারা কষেছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে এই সংক্রান্ত একাধিক সূত্র উঠে আসবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
সুকান্ত মজুমদার