এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার সফরের সময় বিহারের বুদ্ধগয়ায় যে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, সেই ঘটনার সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিল জঙ্গি রেজাউল। সেই ঘটনার তদন্তভার নেওয়ার পর থেকেই এসটিএফের রাডারে ছিল রেজাউল। এসটিএফের ওয়ান্টেড লিস্টেও নাম ছিল তার। নতুন করে তার রাজ্য ছেড়ে পালানোর খবর আসার পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে ডানকুনি থেকে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
advertisement
বীরভূমের ইলামবাজার এলাকার বাসিন্দা রেজাউলের সাংগঠনিক দক্ষতার জন্যই জেএমবি প্রধান সালাউদ্দিন সালের অন্যতম ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল সে। এই দক্ষতার জন্যই ভারতে জেএমবি প্রধান কওসরেরও কাছের লোক হয়ে উঠেছিল রেজাউল।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধুলিয়ান মডিউলকে সামনে রেখেই এরাজ্যে সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছিল জেএমবি জঙ্গিরা। ধুলিয়ান মডিউলের বিস্তারের কাজেও যুক্ত ছিল রেজাউল। সংগঠনের নিয়োগকর্তা হিসেবে একাধিক 'দাওয়াত' দিয়েছিল সে। যার মাধ্যমে বহু যুবক সংগঠনে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু জেএমবি'র কোন জঙ্গির উপস্থিতিতে সেই দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল তাও রেজাউলকে জেরা করে জানার চেষ্টা করবেন গোয়েন্দারা।
একদিকে কওসর অন্যদিকে সালাউদ্দিন, দু’জনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল রেজাউলের। সেইসূত্রে সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করা, যোগাযোগ রাখা, এমনকি, সাংগঠনিক নির্দেশ রেজাউলের মাধ্যমেই সালাউদ্দিন। তাই তার গ্রেফতারি গোয়েন্দাদের কাছে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছেন তাঁরা। সেজন্যই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করবে, এই রাজ্যে বা দেশের কোথাও তাদের কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা। সেক্ষেত্রে কারা কারা সেই সঙ্গে যুক্ত তাদেরকেও খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।
SUJOY PAL