২০১৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তৃণমূলে থাকাকালীন আসানসোল পুরনিগমের মেয়রও ছিলেন। সেই সময় শাসকদলের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন জিতেন্দ্র। দুর্গাপুর পুরনিগমের গত নির্বাচনে বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে দেদার ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । শেষ পর্যন্ত ফলাফল বের হওয়ার পর দেখা যায় বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা একটি ওয়ার্ডেও জিততে পারেননি।
advertisement
৪৩ আসন বিশিষ্ট দুর্গাপুর পুরনিগমের সব ওয়ার্ড দখল করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি,সিপিএম সহ অন্যান্য বিরোধীরা সুর চড়িয়ে বলতে শুরু করে, ছাপ্পা ভোট থেকে সন্ত্রাস, গুন্ডামি, দুর্গাপুর পুরনিগম দখল করতে কোনও কিছুই বাদ দেয়নি শাসকদল তৃণমূল। আর আজ সেদিনের বিরোধীদের অভিযোগের কার্যত এক সুর শোনা গেল বর্তমানে বিজেপি শিবিরের রাজ্যের অন্যতম নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির গলাতেও।
বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে শুভেন্দু অধিকারীর সভামঞ্চ থেকে জিতেন্দ্রর অকপট স্বীকারোক্তি ছিল,’ দলের নির্দেশে কীভাবে ৪৩-০ করা হয়েছে তা আমি জানি। আপনারাও প্রত্যেকেই জানেন কিভাবে ৪৩ জন কাউন্সিলর হয়েছিলেন। দুর্গাপুর বিরোধীশূন্য করার জন্য গোটা বিষয়টি পরিচালনার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অনেকের বিরুদ্ধেই দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলাম, তা সত্ত্বেও সে সময় শোনেনি তৃণমূল নেতৃত্ব। বলেছিল, যে কোনও উপায়ে দুর্গাপুরকে বিরোধীশূন্য করতে হবে। সেদিন অন্যায় কাজ করতে দলের চাপে বাধ্য হয়েছিলাম। আজ আমি ক্ষমাপ্রার্থী’।