পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ১০ দিন আগে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের একটি বিশেষ দল দিল্লিতে পৌঁছয় এবং বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতার খোঁজে তল্লাশি চালায়। তারপরই শনিবার নয়ডায় খোঁজ মেলে জিতেন্দ্রর। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ভাইয়ের চাকরি যাওয়ায় রেগে আগুন রাজ্যের মন্ত্রী! যা বললেন, অস্বস্তিতে সরকার
প্রসঙ্গত, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ ডাঙালে একটি কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী আসানসোল পুর নিগমের বিরোধী দলনেতা কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি৷ শুভেন্দু অধিকারী অনুষ্ঠান মঞ্চ ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কম্বল নেওয়ার হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন বেশ কয়েকজন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বাবা, বাবা' চিৎকার মেয়ের, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি জিতেন্দ্রর! বিমানবন্দরে জোর নাটক
ওই অনুষ্ঠান সেই ঘটনাতেই এক মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত ছিলেন জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি৷ এর আগে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা৷ যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত৷ এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ সোমবার শীর্ষ আদালতে মামলাটি ওঠার কথা। তার আগেই জিতেন্দ্রকে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিশেষ তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তের স্বার্থে জিতেন্দ্রকে আজ আসানসোল আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। এদিকে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।