অভিযোগ, কোনও পূর্ব নোটিশ বা অনুমতি ছাড়াই সবাইকে নিয়ে TMCP রাজ্য সভাপতি হুড়মুড়িয়ে ঢুরে পড়েন উপাচার্যের ঘরে ৷ ঘরে এত পড়ুয়া নিয়ে আসায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ ৷ উপাচার্য ক্ষুব্ধ হওয়ায় বাকিরে বাইরে চলে গেলেও ঘরে রয়ে যান জয়া ৷ দেড়ঘণ্টা ধরে উপাচার্যের সঙ্গে চলে তাঁর বৈঠক ৷ কিন্তু এই সময়টা ঘরে-বাইরে টানা দু’ঘণ্টা ধরে চলে বহিরাগত ও পড়ুয়াদের অবস্থান বিক্ষোভ ৷
advertisement
বিক্ষোভের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন জয়া দত্ত ৷ জয়ার দাবি, এখনও অনেক কলেজে M.COM প্রথম বর্ষের রেজাল্ট বেরোয়নি। সে বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে এসেছেন। পাশাপাশি, ছাত্র নির্বাচনে স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখারও দাবি করেছেন তাঁরা। উপাচার্যের ঘর থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা কোনও বিক্ষোভ নয় ৷ আমরা নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জানাতে আসি ৷ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে ৷ যদিও আমরা ৪০০ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে আছি ৷’ এভাবে পরীক্ষার খাতার স্ক্রুটিনি চলাকালীন বহিরাগত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার প্রশ্নে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভানেত্রী বলেন, ‘প্রথম বর্ষের ফলাফল বেরোয়নি ৷ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য পড়ুয়াও আসেন ৷’
তবে এই পুরো ঘটনাতে TMCP-র কাজে প্রবল ক্ষুব্ধ উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ ৷ তিনি বলেন, ‘ঘরে একসঙ্গে এতজন পড়ুয়াকে আসতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ৷ বাইরে থেকেও অনেকে এসেছিল ৷ আমি তাঁদের চলে যেতে বলেছিলাম ৷ ওরা ভোট নিয়ে অভিযোগ জানাতে আসে ৷ ভোট মানেই অভিযোগ থাকবে ৷ ভোট প্রস্তুতি শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে ৷’