অনেক আগে থেকেই কট্টর মোদি-বিরোধী জহর সরকার। এমনকী মোদির বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রসার ভারতীর সিইও পদও ছেড়ে দিয়েছেন সময়ের আগেই। তবে, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল বলছে, জহর সরকারের যে খুব মমতা-'প্রীতি' ছিল, এমনটাও খুব জোরের সঙ্গে বলা যেত না। আর সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়ে সেই জহর সরকারই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যসভার সৈনিক হতে যাচ্ছেন।
advertisement
তবে তাঁকেই কেন রাজ্যসভায় পাঠাতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী, তা নিয়ে শুরুতে নিজেও একটু অবাকই হয়েছিলেন। সেই ঘোর এখনও কিছুটা বজায় আছে। 'নিউজ 18 বাংলা'কে তিনি বলেওছেন, 'কেন আমার মত একজন আমলাকে উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চয়েজ করলেন, জানি না। আমি এখনও সারপ্রাইজড। অর্থাৎ, মমতার এই 'সারপ্রাইজ'টা যে জহর সরকারের মতো দুঁদে আমলাকেও ভাবাচ্ছে, তা স্পষ্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, জহর সরকারের যেমন দক্ষ প্রশাসক হিসেবে সুনাম রয়েছে, তেমনি কট্টর মোদি বিরোধী মুখ হিসেবেও তাঁর নাম রয়েছে। সেই জহর সরকারকেই রাজ্যসভায় পাঠিয়ে মমতা রীতিমতো 'ট্রাম্পকার্ড' ব্যবহার করতে চলেছেন।
ছাত্র পরিষদ আর পরবর্তী কালে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির ঘনিষ্ঠ হিসাবে কংগ্রেসি ঘরানায় অভ্যস্ত ছিলেন জহর সরকার। তবে, নিজেকে রাজনীতিতে নিয়ে আসার জন্য তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না এই দুঁদে আমলার। কিন্তু ঘটনাচক্রে এবার তিনি রাজ্যের শাসক দলের সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, আমলা জহর একটু দোটানায় পড়েছেন। ভাবছেন, দীর্ঘ বর্ণময় আমলা জীবনের শেষে পৌঁছে তিনি কি পারবেন রাজনীতির আঙিনাতেও সফল হতে? সেদিকেই তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।