#কলকাতা: এক ঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি খুলে গেল রাস্তা।
বুধবার আমফানের তাণ্ডব শেষ হওয়ার পর লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছিল পুরো সল্টলেক। এমনকি যে পূর্ত দফতরের আমফান পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার কথা, সেই দফতরের প্রধান কার্যালয়ের প্রবেশ পথ বন্ধ হয়ে পড়েছিল ভাঙা ডালপালায়। অবরুদ্ধ হয়ে হয়ে গিয়েছিল সামনের রাস্তার দু’টো লেনও। সেই সব কিছু এক ঘণ্টায় কেটে পরিষ্কার করে দিলেন সেনা জাওয়ানরা।
advertisement
আমফানের তাণ্ডবের ছবি এখন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় সম্পূর্ণ রূপে রয়ে গিয়েছে। দুর্যোগের চতুর্থ দিনেও হাজার হাজার গাছ পড়ে রয়েছে সর্বত্র। বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, গাছ পড়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তা নেই। এই ধরনের হাজার সমস্যা মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই রাজ্য সরকারের। চারিদিকে মানুষের মনে বাড়ছে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি বিচার করে শনিবার রাজ্য সরকার সেনার সাহায্য চান। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই কাজে লেগে পরে ভারতীয় সেনা।
শনিবার এক দফা কাজ করার পর রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় অভিযান।
সল্টলেকে পূর্ত দফতরের ভবনটি ঝড়ের পর থেকেই পড়েছিল অবরুদ্ধ হয়ে। ভবনের পূর্ব দিকের বিরাট গেটের সামনে পড়েছিল ভাঙা ডালপালা। সামনের দু’লেনের রাস্তার একদিকের কিছু অংশ পরিষ্কার করেছিল বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা। সেই দিকেই কোনও রকমে যান চলাচল করছিল। অপর লেনটি সম্পূর্ণ ভাবে অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই লেনে দু’টি বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছিল রাস্তা জুড়ে। গাড়ি অনেক পরের ব্যাপার, এমন ভাবে গাছ দুটো পড়েছিল যে সেখান দিয়ে মানুষ চলাচলও সম্ভব ছিল না। এদিন সকাল ন’টা নাগাদ সেনার একটা দলে এসে পৌঁছায় সেখানে। বিহার রেজিমেন্ট এবং ৭১ ইঞ্জিনিয়ার্সের ৪০ জনের যৌথ দল কাটার, দা, কুড়ুল দিয়ে শুরু করে তাঁদের অভিযান।
দু’টি দলে ভাগ হয়ে শুরু হয় কাজ। একটি দল পূর্ত ভবনের দিকের লেনে কাজ শুরু করে। সমস্ত গাছের ভাঙা ডাল কেটে সরিয়ে পূর্ত ভবনের গেটের সামনের অংশ সম্পূর্ণ ভাবে পরিষ্কার করতে সেনা জাওয়ানের সময় লাগে মাত্র আধ ঘণ্টা। অপর দিকের লেনের দু’টি বড় বড় গাছ কেটে, তার সঙ্গে অনান্য গাছ থেকে ভেঙে পড়া ডালপালা পরিষ্কার করে গাড়ি চলাচলের উপযোগী করতে তাঁরা সময় নেন আরও আধ ঘণ্টা। সব মিলিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে খুলে গেল পূর্ত ভবনের পার্শ্ববর্তী এলাকা।