সম্প্রতি কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ফের বিতর্ক তৈরি হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে আচার্য হিসেবে তাকে জানানোই হয়নি বলে অভিযোগ আনেন খোদ রাজ্যপাল৷ যা নিয়ে উপাচার্য তার নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারিনি বলে শোকজ ও করেন কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে। উপাচার্যকে শোকজের জল গড়ায় অনেকদূর পর্যন্তই। তার পরপরই বিভিন্ন বিষয় রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয় রাজ্যপালের। সূত্রের খবর ওই আলোচনাতে সমাবর্তন সম্পর্কে আচার্যকে উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের তরফে ঠিকভাবে অবগত করা হয় না বলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তার পরপরই কয়েকদিন বাদেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। এরপরই গত শুক্রবারে উপাচার্যদের নিজের বন্ধু বলেই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।
advertisement
তবে যাদবপুর বা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শেষমেষ পড়ুয়া ও কর্মচারীদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তনে ঢুকতে পারেননি রাজ্যপাল। আগামী ২৫ শে ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার কথা বললেও শেষমেষ কি সমাবর্তনে যোগ দিতে পারবেন রাজ্যপাল? এখন সেটাই প্রশ্ন তুলছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশই। কারণ রাজ্যপাল ক্যাম্পাসে এলে বিক্ষোভের আশঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়় কর্তৃপক্ষ।