তবে, একই সঙ্গে রাজ্যপাল লেখেন, 'ত্রাণ বিলি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রত্যেকে এই সুবিধা পান।' প্রসঙ্গত, আমফানে ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিলেন রাজ্যপাল। আমফানের সময় প্রায় প্রতিদিনই ট্যুইট করে সরকারকে তুলোধনা করতেন তিনি। কিন্তু ইয়াসে রাজ্যপালের ভূমিকা অনেকটাই আলাদা।
advertisement
ইয়াসের আগের সন্ধ্যায় তিনি সশরীরে প্রথমে আলিপুর আবহাওয়া দফতর, আর তারপর সোজা চলে যান নবান্নে। সেখানে কন্ট্রোল রুমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের চেয়ারে বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি। সেইসঙ্গে ট্যুইটে লেখেন, 'আমফানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক, তা আমরা কেউ চাই না। তবে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় যেভাবে কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে যেভাবে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সব কাজেই এভাবে সমন্বয় রাখা প্রয়োজন।'
একইসঙ্গে তিনি লেখেন, , 'বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য সরকার পুরোদমে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই নিয়ে আমি মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আধুনিকতার জেরে পূর্বাভাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একেবারে সঠিক হয়। আমি সব খবর নিয়ে আপনাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জানাব।' অবশেষে ইয়াসকে সামলানো গেলেও বন্যা পরিস্থিতির মুখে বাংলা। সেই সময় রাজ্যপালের সদর্থক ভূমিকা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।