নয়াদিল্লি: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগের এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। এখনও তিনি প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। তিনি কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে হাজির হননি, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেননি। গত ২১ জুলাই পদত্যাগ করার পর থেকেই সরকারি বাসভবনেই রয়েছেন ধনখড়। তবে তিনি তাঁর অফিসে যাননি বা উপরাষ্ট্রপতির জন্য নির্ধারিত সরকারি বাংলোও ব্যবহার করেননি। এই পরিস্থিতিতে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় অস্থায়ীভাবে একটি বাড়িতেই থাকছেন। কারণ তাঁর সরকার-বরাদ্দকৃত বাংলোটির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর এখনও সম্পন্ন হয়নি।
advertisement
রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৪, এপিজে আব্দুল কালাম মার্গে ধনখড়ের বাংলোটি নির্বাচন করা হয়েছে। বাংলোটি এখনও একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দখলে, যিনি এর পূর্ববর্তী বাসিন্দা। সরকারি সূত্রের খবর, কাজ শীঘ্রই শুরু হলেও, কেন্দ্রীয় গণপূর্ত বিভাগ (সিপিডব্লিউডি) বাংলোটি প্রস্তুত হওয়ার আগে সংস্কার এবং সুরক্ষা সংক্রান্ত কাজ সম্পন্ন করতে কমপক্ষে দুই থেকে চার মাস সময় লাগবে।
এই বিলম্বের ফলে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে, একটি অস্থায়ী সরকারি বাসস্থানের জন্য অপেক্ষা করা অথবা একটি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও বাড়িতে চলে যেতে পারেন। যদি তিনি ব্যক্তিগত ভাবে কোনও বাসস্থান বেছে নেন, তাহলে এত উচ্চ সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত কারও ক্ষেত্রে তা নজিরবিহীন ঘটনা হতে পারে।
তবে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডুকেও তার সরকারি বাসভবনে যাওয়ার আগে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল, যদিও তার জন্য একটি অস্থায়ী সরকারি বাসভবনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁর ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতার কারণ ছিল তার আকস্মিক পদত্যাগ।
এদিকে, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি অভিযোগ করেছেন, ‘জগদীপ ধনখড় কেন পদত্যাগ করলেন সেটা একটা বড় গল্প। কেন তিনি লুকিয়ে আছেন তার নেপথ্যেও গল্প আছে। রাজ্যসভায় যিনি এত সোচ্চার ছিলেন, তিনি হঠাৎ করে একেবারে চুপ হয়ে গেলেন কেন!‘ এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে ইস্তফা দিয়েছেন ধনখড়। শাহ এই বিষয়টি নিয়ে বেশি ‘বাড়াবাড়ি‘ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। আবার অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনখড় দিল্লির বাড়ি থেকে বেরোননি, তবে তাঁর স্ত্রী সুদেশ ধনখড় গত এক মাসে কমপক্ষে তিনবার রাজস্থান সফর করেছেন। এই সফরের সময়, তিনি দু’বার জয়পুর গিয়েছিলেন।