অন্যদিকে যাদবপুর-কাণ্ডে ডিন অফ স্টুডেন্টসের থেকে নথি চেয়েছে পুলিশ। ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ফের তলব করবে লালবাজার। বুধবার তলব পেয়েও গরহাজির ছিলেন তিনি। আজই তাঁকে ফের নোটিস পাঠানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের দাবি, এতদিন ধরে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আসার পরেও এসবের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হয়নি, সেই অভিযোগেই পদত্যাগের দাবি করছেন পড়ুয়াদের একাংশ। সেই দাবিতেই এখনও ঘেরাও করে রাখা হয়েছে ডিনকে।
advertisement
আরও পড়ুন: মা বলছেন ‘নির্দোষ’, বাবা বলছেন ‘দোষী হলে শাস্তি হোক’, যাদবপুর কাণ্ডে সরগরম কুলতলি
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাত ১০:০৫ নাগাদ ডিনের কাছে হস্টেল থেকে একটি ফোন যায়। যেখানে একজন দাবি করে, হস্টেলে এক ছাত্র অস্বাভাবিক ব্যবহার করছে। ১০:০৮ নাগাদ ডিন আবার হস্টেল সুপারকে ফোন করে বিষয়টি দেখতে বলেন। পুলিশের অনুমান, এভাবেই চিত্রনাট্য সাজিয়ে ডিনকে জানানো হয়, তখনই অন্যদিকে হয়তো পড়ুয়াকে মানসিক অত্যাচার করা হচ্ছিল। সেই রাতেই ১১:৪৫ নাগাদ পড়ুয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় হস্টেলের নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মৃত্যু ঘিরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে আরম্ভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসীমার বাইরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি। বুধবার দুপুরে এআইডিএসও ও টিএমসিপির পড়ুয়াদের মধ্যে তুমুল বিবাদ শুরু হয়েছিল যাদবপুরে। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয় অরবিন্দ ভবনের সামনে।
এদিকে বুধবারই রাতে অন্য ধরনের চেহারা দেখা গিয়েছিল যাদবপুর প্রাঙ্গনে। মৃত পড়ুয়ার গ্রাম হাঁসখালি, বগুলা থেকে শত শত মানুষ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে নীরব প্রতিবাদ জানিয়ে গেলেন।