আরও পড়ুন: তিন দিনে দু’বার ইন্ট্রো, স্বপ্নদীপের উপরে কীভাবে মানসিক চাপ? সৌরভের থেকে উত্তর খুঁজছে পুলিশ
গত ৩ অগাস্ট বাবা রামপ্রসাদ কুণ্ডুর সঙ্গে গিয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন স্বপ্নদীপ। তারপর গত সোমবার, ৭ তারিখ ডিপার্টমেন্টে পা রাখেন স্বপ্নদীপ। প্রথমদিন বিভাগীয় প্রধান এবং বাকি অধ্যাপকেরা চার বছরের এই কোর্সের সিলেবাস সংক্রান্ত যাবতীয় আলোচনা করেন। তার পর দিন ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সকলে মিলে গানবাজনা করেন। একে অপরের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন। তার পরদিন প্রথম ক্লাস হয়। বিভাগীয় প্রধান নিজে ক্লাসে গিয়ে নবাগতদের প্রশ্ন করেন, তাঁদের কোনও রকম অসুবিধা হচ্ছে কিনা, কোনও সাহায্যের দরকার কিনা। সেখানে কোনও কোনও পড়ুয়া প্রশ্ন করেন, কেউ কেউ অসুবিধা-সুবিধার কথা জানান।
advertisement
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর | Jadavpur University News Today
অধ্যাপক জয়দীপ ঘোষের কথায়, ‘‘আমি নিজে গিয়ে সকলের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম, কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা। কেউ কেউ জানায়। কিন্তু স্বপ্নদীপ যে এই সমস্যার মধ্যে রয়েছে বা ওর মন ভাল নেই, সেটা ও বলতে পারেনি বোধহয়। আমরা বুঝতে পারিনি। ওকে এই তিনদিনই বেশ হাসিখুশি লেগেছে। প্রত্যেকটি ইভেন্টে অংশ নিয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলেছে। হ্যাঁ, তবে খানিক কম কথা বলত বলে জানিয়েছে ওর বন্ধুরা। তবে প্রথম প্রথম সকলেই একটু সময় নেয় বলে সেটা অস্বাভাবিক লাগেনি কারও। আর বিভাগে ওর আচরণে কোনও রকম অসঙ্গতি নজর করেনি কেউ।’’
অধ্যাপক রাজ্যেশ্বর সিনহা জানান, সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরই ক্লাসের ছেলেমেয়েরা। কান্নাকাটি করেছেন অনেকে, কেউ কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ঘটনা শুনে। সে কারণে তাদের কথা বলে আশ্বস্ত করেছেন বিভাগের অধ্যাপকেরা। কোনওরকম অসুবিধার সম্মুখীন হলে যেন তাঁরা সরাসরি অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলেন, তার জন্য উপস্থিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা ফোন নম্বরও দিয়েছেন।
