যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সহবাস করছেন বলে অভিযোগ। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় তাকে। তবে সে কথা রাখেননি শিক্ষক। এর পরেই অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। সব কথা জানিয়ে অভিযোগকারিণী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। শুধু তাই নয় ওই ছাত্রী যাদবপুর থানাতেও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যাদব বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জিব ভট্টাচার্য এ বিষয়ে জানিয়েছেন, " "আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।"
advertisement
পুলিশের কাছে ওই ছাত্রী জানায়, "আমি আমার অভিযোগে সব জানিয়েছি। বিশ্ব বিদ্যালয় এবং পুলিশকে সব জানিয়েছি। তদন্ত হোক এই বিষয়ে।" তবে যে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা যায়নি। বিশ্ব বিদ্যালয় গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে। প্রয়োজনে উচিত শাস্তি হবে বলেই দাবি।
ধর্ষণ বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের ঘটনা ভারতের মাটিতে নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই ইউপি থেকে বিহার কিম্বা মধ্যপ্রদেশে খুঁজে পাওয়া যায় অত্যাচারিত নির্ভয়াদের। তাঁদের সকলের ভাগ্যে সঠিক বিচারও জোটে না। কিন্তু এমন অনেক ঘটনা আছে যা চাপা পড়ে থাকে। জানাই যায় না। পরিবারের লোকেরাও নিজের মেয়ের কথা সামনে আনতে চান না। নানান সামাজিক চাপের কথা ভেবে। তবে এখন সমাজ বদলাচ্ছে। মেয়েরা তাঁদের অধিকার বুঝে নিতে শিখেছে। প্রতিবাদও করছে। শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর এই ধরণের ঘটনাও নতুন নয়। প্রায় সামনে আসে এমন ঘটনা। যা পড়ে সত্যিই শিউরে উঠতে হয়। তবে যাদবপুর বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রীতিমতো চাঞ্চল্যকর !
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়