বুদ্ধদেবের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিসি সিনিয়র হোস্টেলে তিনি থাকেন। গত ৭ তারিখ নিউ ব্লক হোস্টেলে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। ৯ নভেম্বর ক্লাসের একটি পরীক্ষা ছিল তার। দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত ক্ষীন হওয়ায় সেই পরীক্ষায় তাঁর হয়ে লেখার জন্য এক জন রাইটারের প্রয়োজন ছিল তার। সেই কারণেই গিয়েছিলেন তিনি। সে সময়ই নিউ ব্লক হোস্টেলে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তনী। আচমকাই সে চড়াও হয় বুদ্ধদেবের উপর। তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। অ্যালকোহলের গন্ধ ভালো না লাগায় বুদ্ধদেব তাকে সরিয়ে চলে যেতে চান। তখনই তাকে মারা শুরু করে সেই প্রাক্তনী। বুদ্ধদেব বলেন," আমি শুধু হাত দিয়ে আত্মরক্ষা করি"। তাতে আরও মারধর করে, হুমকিও দেয় সে। এরপর বুদ্ধদেবের বন্ধু সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: 'ইন্ধিরা গান্ধির কাজের দিকেই এগোচ্ছেন মমতা', ফিরহাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কটাক্ষ দিলীপের
বুদ্ধদেবের আরও দাবি, জুডো জানা সত্ত্বেও তার প্রয়োগ করেনি সে। ঘটনার দিনই বুদ্ধদেব অভিযুক্ত প্রাক্তন ছাত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ইউজিসি হেল্পলাইনে অভ্যন্তরীণ অভিযোগ দায়ের করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি রাগিং সেলের তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যাদবপুর থানায় FIR দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৫০৪, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বিভাগীয় প্রধানকে চিঠি দেন বুদ্ধদেব।
আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেই আবহাওয়ায় বদল! শীত নিয়ে বড় আপডেট হাওয়া অফিসের
বিভাগীয় প্রধানের দাবি, হোস্টেলের বিষয়টি তাদের অধীনে না হলেও, বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় মুক্ত আদান-প্রদানের জন্য কারও যাতায়াত সীমাবদ্ধ করে না, কিন্তু এরকম ঘটনা নিন্দাজনক এবং সঠিক ব্যবস্থা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে। বুদ্ধদেবের বয়ানের ভিত্তিতে আগামী ২৪ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা একটি বিশেষ বৈঠক করবেন। র্যাগিংয়ের মতো সামাজিক ব্যাধিকে যাতে নির্মূল করা যায়, সেই নিয়েও আলোচনা হবে সেই বৈঠকে।