চিঠিতে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস লিখেছেন 'একাডেমিক এক্সিলেন্স বজায় রাখতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে এই সমস্যা বিশেষ ভাবে তৈরি হয়েছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক, পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে প্রতিযোগিতা করতে গেলে আমাদের পরিকাঠামো ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক এবং উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়নে বদল আনা প্রয়োজন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় আমাদের প্রথমে নির্ভর করতে হয় সরকারের অর্থের উপর। কিন্তু সরকারের অর্থ বিশেষত রাজ্য এবং কেন্দ্র উভয়ের বরাদ্দ অর্থ কমে আসছে। তার জন্যই আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, আর্থিকভাবে পাশে দাঁড়াতে। যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিকাঠামো এবং আগামী দিনে আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে শক্তিশালী করা যায়।'
advertisement
আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের আন্দোলনের জের, বই খুলে পরীক্ষা, পূর্ণমান কমে ৭০ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে
তবে শুধু এখানেই শেষ নয়, উপাচার্যের চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক এক্সিলেন্স আরও উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে আর্থিক সমস্যাগুলোর সমাধান হওয়া প্রয়োজন। করোনা পরিস্থিতির সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক্তনীদের থেকে সহযোগিতা পেয়েছে। সেই সহযোগিতা আরও চাই আমাদের।'
সম্প্রতি Qs world র্যাঙ্কিং-এ রাজ্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম এবং দেশজুড়ে অষ্টম স্থান অধিকার কলকাতার এই বিশ্ববিদ্যালয়। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্থার র্যাঙ্কিং-এ উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে যাদবপুর।
আরও পড়ুন: ফের অনন্য সম্মান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের, Qs world র্যাঙ্কিং-এ দেশের মধ্যে ৮ম!
সম্প্রতি স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২জন অধ্যাপক জায়গা করে নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সুরঞ্জন দাস চিঠিতে এই প্রসঙ্গগুলিও উল্লেখ করেছেন প্রাক্তনীদের দেওয়া খোলা চিঠিতে। যদিও এই চিঠির প্রেক্ষিতে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের।