পুলিশ সূত্রের খবর, যাদবপুরের ঘটনায় এখনও অধরা অন্তত ৪ অভিযুক্ত৷ এর মধ্যে ধৃত সৌরভ চৌধুরী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ৷ প্রাক্তনী সহ বাকিদের খোঁজ নেই মেন হস্টেলেও৷
আরও পড়ুন: ঠিক কী ঘটেছিল বুধবার? ছাত্র মৃত্যুতে এবার হস্টেল সুপার-সহ এক পড়ুয়াকে ডেকে পাঠাল যাদবপুর
জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রের মৃত্যুর ঠিক ৩ ঘণ্টা আগে তাঁকে হস্টেলের সিনিয়রদের রুমে রাখা হয়েছিল৷ তিন ঘণ্টা ধরে তাঁর সঙ্গে এমন কী করেছিল ওই চার সিনিয়র? যার জেরে এমন করুন পরিণতি হয় ওই ছাত্রের, সেই প্রশ্নই তুলছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ৷ তাছাড়া, যে প্রাক্তনীর কথা সামনে আসছে, পাস আউট হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি কী ভাবে হস্টেলে ছিলেন, তিনি কি সৌরভের মতোই ওই হস্টেলে থাকতেন? ঠিক কতটা প্রভাব ছিল তাঁর? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরই এখন জানতে চান তদন্তকারীরা৷
advertisement
গত বুধবার রাত ১০টা নাগাদ যাদবপুরের মেন হস্টেলের ছাদ থেকে ভারী কিছু পড়ে যাওয়া শব্দ পান আবাসিকেরা৷ হস্টেলের নীচ থেকে উদ্ধার হয় এক ছাত্র৷ রক্তাক্ত এবং বিবস্ত্র অবস্থায়৷ ঘটনায় হস্টলেরে সিনিয়রদেরই একাংশের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ এনেছেন মৃত ছাত্রের বাবা৷ গ্রেফতার করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্ক বিভাগের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী এবং বর্তমানে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে৷
এছাড়াও, ঘটনার সময় আরও অনেকে উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে৷ সামনে এসেছে একটি চিঠি-ও৷ মৃত ছাত্রের ডায়েরিতে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে লেখা চিঠিটি আদৌ মৃত ছাত্র লিখেছিল কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ৷ অভিযোগ, ক্যাম্পাসের বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর এক সিনিয়রের বিরুদ্ধে জোর করে ওই চিঠি লিখিয়েছিলেন হস্টেলের দাদারা৷ যদিও গোটা ঘটনাই এখনও তদন্ত সাপেক্ষ৷