এই বিষয়ে পুলিশের তরফে সুয়োমোটো মামলা করে। অভিযোগ, বুধবার ৪১-এ তে নোটিশ দেওয়ার পরে কাজি সাদেক হোসেন আসেননি। তাই তাঁকে পুলিশ আটক করে নিয়ে আসে। প্রসঙ্গত, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর পর থেকেই সংবাদের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। কখনও রাজনৈতিক মিছিল, কখনও দুই ছাত্র সংগঠনের মারামারি, নিত্যদিনই কোনও না কোনও কারণ ঘিরে অশান্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এরমধ্যেই বুধবার নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
advertisement
আচমকা বুধবার দুপুরে ভারতীয় সেনার পোশাকে হাজির হন ২৫-৩০ জন। তাদের পক্ষে একজন গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন। জানান, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা জেনে তাঁরা এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি রক্ষার্থে যদি বাহিনী ব্যবহারের প্রয়োজন হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে তাঁরা পরিষেবা দেবেন। মানবাধিকার রক্ষার কাজ করলেও তাদের এই সংস্থা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে কাজ করে বলেই দাবি করেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, দশ-দশটি ক্যামেরার প্রত্যেকটিই গেটে…? ব়্যাগিং রুখতে হস্টেলে সিসিটিভি নয় কেন?
আরও পড়ুন, মাদুরাইয়ে তীর্থযাত্রী বোঝাই ট্রেনে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! নিহত অন্তত ৯, আহত ২০
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করল কলকাতা পুলিশ। ১৪০ ও ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশের অভিযোগ, ভারতীয় সেনার পোশাকে অবমাননা করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার এম্বলেম লাগানো পোশাক পরিহিত সেই ২৫-৩০ জন যুবক-যুবতীদের সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। কখনও তাঁরা আন্তর্জাতিক সংগঠন, কখনও বা মানবাধিকার কমিশনের সদস্য, কখনও আবার NGO, এই রকম বিভিন্ন দাবি করেন। তাঁদের কাঁধে WHRPF লেখা ইনসিগনিয়া ব্যবহার করা থাকলেও, তাঁদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা তাঁদের স্বীকৃতি কারা দিয়েছেন, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।
