এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে নজর রাখার অন্যতম কারণ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক। নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এই এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে আলোচনা করার পরেই তা নেওয়া সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: রিয়েল লাইফে মা হওয়ার প্ল্যান নিয়ে অকপট ঋতাভরী! ফাঁস করলেন জীবনের ‘সত্যি’
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি বিচার করে যেখানে স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই এই বৈঠক করতে হয়, সেখানে প্রায় সাত মাস পরে সংগঠিত হচ্ছে এই বৈঠক। তবে যে বিষয়টি এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য তা হল ছাত্র মৃত্যু প্রসঙ্গ কিছুটা গৌণই রইল এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে।
আরও পড়ুন: দু’বার চারবার নয়…, সরকারি চাকরির পরীক্ষায় ১৫ বার ফেল! তারপর? চমকে দেবে গল্প!
আলোচনার জন্য পূর্ব প্রস্তাবিত যে সমস্ত অ্যাজেন্ডা ছিল, তাতে কিছুটা আশ্চর্যজনক ভাবেই জায়গা পায়নি র্যাগিং বিরোধী পরিকাঠামো নির্মাণ-সহ প্রথম বর্ষের সেই ছাত্রের প্রসঙ্গও। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী জিরো আওয়ারের আলোচনায় জায়গা পেয়েছে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট।
বিস্তারিত সেই রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমান্তরালভাবে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডকেও তদন্ত করার কথা বলা হয়েছে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের তরফে। স্বপ্নদ্বীপের র্যাগিং এর ঘটনাকে নিয়ে আলাদা ভাবে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াডকে নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির বিস্তারিত রিপোর্ট সঙ্গে রেখেই স্কোয়াড যাতে আলাদাভাবে তদন্ত করে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
প্রসঙ্গত অন্যান্য ইস্যুর পাশাপাশি ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা চলেছে বৈঠকে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পরিকাঠামগত কী কী কাজ করা যেতে পারে সেই নিয়ে চলেছে আলোচনা। কীভাবে রোখা হবে ডেঙ্গিকে? সূত্রের খবর অনলাইন ক্লাসের প্রসঙ্গ তোলা হয়েছে বৈঠকে।
আবাসিক ছাত্রদেরকে আপাতত বাড়িতে পাঠিয়ে অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠন-পাঠন চালানো যায় কিনা সেই প্রস্তাব উঠে আসে আজকের বৈঠকে। তবে আপাতত এই বিষয়ে সব ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধানদের মতামতের উপর নির্ভর করছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এই বৈঠক থেকে বলা হয়েছে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের উপর আপাতত নির্ভর করে রয়েছে এই সিদ্ধান্ত।