সত্যব্রত কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের বর্তমান ছাত্র৷ বাড়ি নদীয়ার হরিণঘাটায়৷ জানা গিয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার আগে সেদিন রাতে তাঁর ফোন থেকেই ডিন অফ আর্টসের ফোনে ফোন গিয়েছিল। ডিন তার পরে হস্টেল সুপারকে কল করে বিষয়টি দেখতেও বলেন। সুপার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।
গ্রফতার হওয়ার পর নিউজ18 বাংলার সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে সত্যব্রত নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। সত্যব্রতর বাবা পেশায় ফলবিক্রেতা। দুঃস্থ পরিবারের মেধাবী ছাত্রের গ্রেফতারিতে হতাশ পরিবার।
advertisement
এদিকে তাঁকে পুলিশ ভ্যানে ওঠানোর পরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। সংবাদমাধ্যমের দিকে অশালীন ইঙ্গিত করেছেন র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত ছাত্র। চাদর দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় মধ্যমা দেখিয়েছেন সত্যব্রত।
আরও পড়ুন: পায়খানা-বাথরুমও পরিষ্কার করতে হত ফার্স্ট ইয়ারদের, চলত দাদাদের ‘দাদাগিরি’ অলিখিত পরম্পরা
গত ৯ অগাস্ট রাত ১২টা নাগাদ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের নীচে বিবস্ত্র, রক্তাক্ত অবস্থায় এক ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়৷ তার তিন দিন আগেই তিনি বাংলা বিভাগের স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছিলেন৷ ঘটনার পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ গোটা ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী কমিটির রিপোর্টে ইতিমধ্যেই র্যাগিং তত্ত্ব উঠে এসেছে৷ বিবস্ত্র অবস্থাতেই যে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছিল, তারও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে৷