ছাত্রভোট ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা ছিল।কিন্তু বুধবার নির্বিঘ্নেই শেষ হল যাদবপুরের ছাত্র ভোট। ছাত্রভোট নির্বিঘ্নে করার জন্য শান্তির আবেদন সোমবারই করেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কিন্তুু শুধুমাত্র আবেদন নয়, বুধবার সকাল থেকেই নিজেই সরেজমিনে ভোট পর্ব নজরদারি চালালেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এবারের ছাত্রভোটেই প্রথম ইঞ্জিনিয়ারিং ও কলা বিভাগে মূল আসনের প্রত্যেকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে এবিভিপি। ভোটদানের হার ভাল হওয়ায় ভাল ফলের ব্যাপারে আশাবাদী এবিভিপি। এ প্রসঙ্গে এবিভিপি ছাত্রনেতা সুরঞ্জন সরকার বলেন "ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আমরা ভাল ফলের ব্যাপারেে আশাবাদী। পড়ুয়াদের মধ্যে এখানে কতজন বাম মনোভাবের বিরোধী তার উত্তর পাওয়া যাবে গণনার দিন।"
advertisement
যদিও এবিভিপি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছে না গত কয়েক বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় থাকা ডিএসএফ। ডিএসএফ এর বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অভিক পাল বলেন "গত ৪৩ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষমতা ডিএসএফের হাতেই রয়েছে এবারও তাই হবে।" অন্যদিকে কলা বিভাগের নিজেদের ছাত্র সংসদের ক্ষমতা ধরে রাখার ব্যাপারে আশাবাদী এসএফআই।এসএফআইয়ের সদস্য উষসী পাল বলেন "গতবার আমরা ছাত্র সংসদ দখল করেছিলাম এবার তার থেকে বেশি ভোটের ব্যবধানে আমরা জিতব।" এবারেও কলা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে টিএমসিপিও মূল আসনের প্রত্যেকটিতেই প্রার্থী দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে টিএমসিপির ইউনিট সম্পাদক সঞ্জীব দাস বলেন "গতবারের চেয়ে় এবার আমাদের ভোট আরো বাড়বে।"
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের মতে এবারের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে। বিশেষত কলা বিভাগের একাধিক ছাত্র সংগঠন প্রার্থী দেওয়ায় ভোট কাটাকাটির সম্ভাবনা প্রবল। তার জেরে বাড়তি সুবিধা পেতে পারে এবিভিপি। যদিও শেষ পর্যন্ত অবাঙালি ভোটারই ভাবাচ্ছেে এসএফআই সহ স্বাধীন ছাত্র সংগঠনগুলোকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়