বুধবার তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লিখেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের অনুমতি দিলেন না রাজ্যপাল। ব্রাত্য লেখেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুদীর্ঘ ঐতিহ্য এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ ও সুবিধের কথা বিবেচনা করে উচ্চশিক্ষা বিভাগ নানা আইনি জটিলতা সত্ত্বেও ২৪ ডিসেম্বর সমাবর্তন করার জন্য অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু মাননীয় রাজ্যপাল আইনি অনিশ্চয়তার কারণ দেখিয়ে সমাবর্তন করার জন্য প্রয়োজনীয় কোর্ট মিটিং ডাকতেই সম্মতি দেননি৷ অথচ উনি এই একই আইনি পরিমণ্ডলে রাজ্য সরকারের অনুমোদন না নিয়েই একাধিক সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন করিয়েছেন। তাহলে আসল লক্ষ্য কি ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ নয়? বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট নয়? রাজ্য সরকারের বিরোধিতাই তাহলে সবকিছুর মূলে? জোছনা রাতে আমাদের রাজ্যে ছেলেমেয়েদের চোখে এইভাবে উনি আলকাতরা মাখাতে চান? কে থামাতে পারবে রাজ্যের নয়া আমদানি এই বোম্বাগড়ের রাজাকে?’
advertisement
আরও পড়ুন: গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে নেই প্রধানমন্ত্রী! এবার কী করবে বিজেপি? খোলসা করলেন শুভেন্দু-সুকান্তরা
বুধবার এক্স হ্যান্ডেল এ এমনটাই পোস্ট করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। আগামী ২৪ ডিসেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন করতে চেয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: সাগরে ফুঁসছে ঘূর্ণাবর্ত! হঠাৎই বদলে গেল গতিপথ…বড়দিনে বড়সড় ভোলবদলের আশঙ্কা আবহাওয়ার
উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে বৈঠকের অনুমতি দিলেও সূত্রের খবর রাজ্যপাল কোর্ট বৈঠক ডাকার জন্য সম্মতি দেননি। মূলত কিছু আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে বৈঠকে সম্মতি দেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তার পরপরই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আর জরুরি ভিত্তিতে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরের সামনে এদিন পাল্টা বিক্ষোভ অবস্থান আন্দোলন শুরু করেন জুটা সমর্থিত অধ্যাপক অধ্যাপিকারা। সবমিলিয়ে যাদবপুরের সমাবর্তন হবে নাকি? তা এখনও অনিশ্চয়তায়।