এ বিষয়ে বুদ্ধদেব সাউকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাঁর দায়িত্ব সম্পর্কে জানান, “আমার প্রায়োরিটি হচ্ছে অ্যাকাডেমিক পরিবেশকে নিয়ন্ত্রণে রাখা! সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমার যতদূর মনে হয় এটা র্যাগিংয়ের ঘটনা। তাই আগে এই বিষয়ে নজর দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড কতটা কাজ করছে তা দেখতে হবে! এখনই বলা যাবে না এ বিষয়ে! তবে আজ যদি এই ঘটনা না ঘটত- তাহলে আমার প্রথম কাজ হত অ্যাকাডেমিক পরিবেশকে প্রায়োরিটি দেওয়া!”
advertisement
গত কয়েকদিনে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে যাদবপুর। বগুলার ছাত্রের হস্টেল থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর পর নানা খবর সামনে আসছে। উঠে এসেছে র্যাগিংয়ের মতো জঘন্য অত্যাচারের অভিযোগও! একের পর এক প্রাক্তনী এই যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে সেই ট্যাক্সিও, যাতে করে মৃত ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পুলিশ নতুন তথ্যের খোঁজে রয়েছে। কীভাবে, কী করে মৃত্যু হয় ওই প্রথমবর্ষের ছাত্রের তা নিয়ে চলছে তদন্ত! আর এই তদন্তের জেরেই সামনে আসছে নানা ভয়াবহ ঘটনা!
আরও পড়ুন:
পাশ করে যাওয়ার বেশ কয়েক বছর পরেও হস্টেল ছাড়ত না প্রাক্তনীরা! এখানে পড়া অন্য ছাত্রদের মুখেও উঠে আসছে র্যাগিংয়ের কথা! যাদবপুরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে চলতে পারে এই র্যাগিং? কেউ কী কিছুই জানত না! প্রসঙ্গত গত ৩১ মে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সুরঞ্জন দাস। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। পরে ওই পদে অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে যাদবপুরেরই ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অমিতাভ দত্তকে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল বোস। কিন্তু গত ৪ অগাস্ট তিনিও ইস্তফা দেন। এর পর আর নতুন করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে কাউকে নিয়োগ করেননি রাজ্যপাল। ফলত উপাচার্যহীন হয়েই ছিল যাদবপুর। আর তার মধ্যেই ঘটে যায় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা। তবে নতুন অস্থায়ী উপাচার্যের উপর ভরসা রাখছেন রাজ্যপাল!
SOMRAJ BANDOPADHYAY