এদিন প্রথমে মহিলা হস্টেল ও নিউ বয়েজ হস্টেল ঘুরে দেখেন তাঁরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার ছবি তোলেন৷ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন নোটও নেন।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পরে ক্যাম্পাসের পাশাপাশি হস্টেলের নিরাপত্তার বিষয়েও জোর দিচ্ছে যাদবপুর। যে মেইন হস্টেল থেকে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার পড়ে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল, এদিন সেই মেইন হস্টেলও ঘুরে দেখেন ইসরোর প্রতিনিধিরা। হস্টেলের এ টু ব্লক ও তার পাশাপাশি ঘটনাস্থল হস্টেল চত্বর খতিয়ে দেখা হয়।
advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, তাদের সঙ্গে দুদিন ধরে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে ইসরোর। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ আই ও rfid এই দুই টেকনোলজি নিয়ে কথা বলেছেন তাঁরা। বহিরাগত কেউ ক্যাম্পাস বা হস্টেলে ঢুকছে কি না, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷
সূত্রের খবর, নতুন প্রযুক্তিতে ছাত্র-শিক্ষক অথবা অশিক্ষক-কর্মচারী ছাড়া কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হলে আগাম অনুমতি নিতে হবে৷ বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে টোকেন দেবে। সেই টোকেন নিয়েই প্রবেশ করতে হবে তাঁকে।
ইসরোর প্রতিনিধি দল সবকিছু খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করবে বলে জানা গিয়েছে৷ সেই রিপোর্টের সুপারিশের উপরে ভিত্তি করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে এগোবে। তবে কবে রিসার্চের কাজ শেষ হবে, সে বিষয়টি নিশ্চিত রূপে জানা যায়নি৷ উপাচার্যের অবশ্য যাবি সবটাই সময় সাপেক্ষ।
এদিকে প্রযুক্তির সাহায্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে তার জন্য খরচও যথেষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সে দিকেও নজর রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ ওয়ার্ক অর্ডার বেরলেও ক্যাম্পাসে সিসিটিভি এখনও বসানো সম্ভব হয়নি। উপাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, এই বিষয়টি সরকার দেখছে।