পুলিশ সূত্রে তদন্তে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। প্রশ্ন উঠেছে, সন্ধ্যার পর কি তিন তলায় দ্বিতীয় বার ইন্ট্রোড্রাকশনের পর্ব হয়েছিল স্বপ্নদীপের? সেখানেই কি মানসিক ও শারীরিক হেনস্থা হতে হয় তাঁকে? এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতেই সৌরভ চৌধুরীকে জেরা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ‘তোর হস্টেলের বাবা কে…?’ প্রথম বর্ষের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে গায়ে কাঁটা দেওয়া পোস্ট ছাত্রের!
advertisement
প্রসঙ্গত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ছাত্র সৌরভের মাধ্যমেই হস্টেলে এসেছিল স্বপ্নদীপ। সিনিয়রদের সঙ্গে স্বপ্নদীপের পরিচয় করিয়েছিল সৌরভ চৌধুরী। এই পরিচয়ের পরেও কেন আলাদাভাবে ইন্ট্রোর প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? এসব প্রশ্নই জানতে চাওয়া হচ্ছে সৌরভকে। কেন বারান্দায় ছুটোছুটি করেছিলেন স্বপ্নদীপ? জানতে চাওয়া হচ্ছে সেই প্রশ্নের উত্তরও।
তদন্তে উঠে এসেছে, একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন স্বপ্নদীপ। কেন এমনটা করেন তিনি? জেরায় এই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতে চাইছে পুলিশ। প্রাণ বাঁচাতেই কি ঘর বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন স্বপ্নদীপ? কে কে ছিলেন ওই দিন সন্ধ্যায় তিন তলায়? সৌরভ ছাড়াও আরও কয়েক জন পড়ুয়ার বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ডিম তো খাচ্ছেন রোজ রোজ! ডিমের সাদা অংশটার নাম কী বলুন দেখি? উত্তর খুঁজে হিমশিম ৯৯% মানুষ!
এদিকে এরইমধ্যে প্রাক্তনীদের একাংশের বিস্ফোরক বয়ান ঘিরে বাড়ছে জল্পনা। মেইন হোস্টেলের একটি ‘নেড়া ছাদ’ ঘিরে উঠে আসছে বিস্ফোরক অভিযোগ। প্রাক্তনীদের একাংশের দাবি, এই নেড়া ছাদেই কখনও বিবস্ত্র করে কখনও নামমাত্র পোশাকে চলত র্যাগিং। কখনও নগ্নদেহে প্যারেড কখনও বা নেচে দেখাতেও বলা হত বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগের আড়ালেই ভেসে আসছে প্রশ্ন তবে কি এমন কিছুই ঘটেছিল স্বপ্নদ্বীপের সঙ্গেও? কারণ প্রতিপক্ষদর্শীদের বয়ান বলছে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় রক্তাক্ত স্বপ্নদীপকে হস্টেলের বিল্ডিঙের নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায় স্বপ্নদীপকেও।