অবশেষে জট কাটল মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর। গতকাল কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (জল সরবরাহ বিভাগ) অমিতাভ পালের নেতৃত্বে যৌথ পরিদর্শন করা হয়। তারপর মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বিকল্প প্রস্তাব দেয় কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবটি ছিল যে, জলাধারের উপরে মণ্ডপকে সরিয়ে ফেলতে হবে। মণ্ডপকে জলাধারের উপর থেকে সামনে সরিয়ে এনে ১০ ফুটপার্কের মধ্যে এবং ৫ ফুট ওয়াকওয়েতে মণ্ডপ করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: হুমকি চিঠি নিয়ে বিচারকের কাছেই মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
আরও পড়ুন: ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার প্রধান শিক্ষক, বাগদায় চাঞ্চল্য
সেই প্রস্তাব নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করার পর বুধবার পুজো কমিটি কলকাতা পুরসভায় সিদ্ধান্ত জানাতে আসে। স্থানীয় ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর বরো চেয়ারপার্সন রেহানা খাতুন এবং কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি অশোক ওঝা-সহ পুজো উদ্যোক্তারা ডিজি (জল সরবরাহ বিভাগ) মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পুজো কমিটি কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের শর্ত মেনেই মণ্ডপ করার সম্মতি জানান তাঁরা।
অগাস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মণ্ডপ নিয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। পুজো নিয়ে সেই অচল অবস্থা এবার সচল হল। কলকাতা পুরসভার কথা অনুযায়ী ১৫ ফুট লম্বা এবং ৪০ ফুট চওড়া মণ্ডপ করতে রাজি হয়েছেন মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্যোক্তারা। ফলে ছোট হলেও পার্কে পুজো করতে পেরে কিছুটা খুশি তাঁরা। তবে মনও খারাপ৷ সমাধান চেয়ে এদিনও পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা যেন ২০২৩ সালে সুষ্ঠুভাবে পুজো করতে পারেন। ২০১৯ সালে পার্কের সেমি আন্ডারগ্রাউন্ড জলাধারে ফাটল দেখা দিলে পুজোর সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় কমিটি। তিন বছর পর এবার পার্কে পুজো করা যাবে এই ভেবে খুশি ছিলেন উদ্যোক্তারা।
এ বছরও আপাতত কলকাতা পুরসভার শর্ত মেনে পুজো করতে গিয়ে তাদের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে বলে জানান জয়েন্ট সেক্রেটারি অশোক ওঝা। স্থানীয় কাউন্সিলর রেহানা খাতুনের নেতৃত্বে মহম্মদ আলি পার্কের আয়োজকরা দীর্ঘক্ষণ মৈনাক মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাঁরা পুর কর্তৃপক্ষের দাবি মেনে পুজোর মণ্ডপ তৈরি করার সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান রেহানা খাতুন। তবে তাঁর আক্ষেপ যে মহম্মদ আলি পার্কের মতো ঐতিহ্যশালী এই বিখ্যাত পুজো ছোট হলে আয়োজনে খামতি তো থাকবেই।