তেল আভিভ: ইজরায়েলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার পালটা হামলায় ইয়েমেনে নতুন করে অস্থিরতা ছড়িয়েছে। বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠী এবার সরাসরি জাতিসংঘের দফতরে হামলা চালিয়ে অন্তত ১১ জন কর্মীকে পণবন্দি করে। ঘটনাটি ঘটেছে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও বন্দরনগরী হুদেইদাতে, যেখানে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত দফতরগুলিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে হামলা চালানো হয়।
advertisement
সম্প্রতি ইজরায়েল সেনার বিমান হামলায় সানায় হুথি সরকারের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ আল রাহাবি ও একাধিক মন্ত্রীর মৃত্যু হয়। ওই সময় একটি সরকারি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। হঠাৎই বিমান থেকে বোমাবর্ষণ শুরু হয়, যার ফলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরই হুথিরা প্রতিশোধের পথে হাঁটে।
হুথি গোষ্ঠীর দাবি, রাষ্ট্রসংঘের কিছু কর্মী ইজরায়েল ও আমেরিকার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করছিলেন এবং হামলার সময় গোপন তথ্য সরবরাহ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “জাতিসংঘ নিরপেক্ষভাবে মানবিক সহায়তা প্রদান করে। এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী।” ইয়েমেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রান্ডবার্গ বলেন, “আমরা আমাদের কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। এই ঘটনা ভয়াবহ এবং নিন্দনীয়”।
এটি প্রথমবার নয়, এর আগেও হুথি গোষ্ঠী রাষ্ট্রসংঘের ২৩ জন কর্মীকে বন্দি করেছিল, যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।