এই শহর জানে তাঁর প্রথম সবকিছু। তাই কলকাতায় এসে নস্ট্যালজিক অ্যান্তনিও লোপেজ হাবাস। প্লে-অফে ওঠার পর এটিকে কর্তারা বলছেন, তাঁরা এবার ফাইনাল খেলবেন। কিন্তু এই শহর জানে সৌরভের দলের প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পিছনে ছিল একটাই নাম। তিনি হাবাস।
কর্তাদের সঙ্গে মনোমালিন্য এই শহর থেকে তাঁকে দূরে করেছে। কিন্তু পুণের হয়ে কলকাতায় এসে হাবাস জানালেন, এখনও অনেক স্মৃতি তাঁর মন ভরিয়ে দেয়। গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে শুক্রবার মাঠে নামবে পুণে। রবীন্দ্র সরোবরে এই ম্যাচের আগে স্প্যানিশ কোচের দাবি, হাবাস বনাম কলকাতা নয়। এই ম্যাচ হবে পুণে বনাম কলকাতার। মার্কি এডার গুডজনসেনকে পুরো সময় পাননি। সেই হতাশাও এদিন প্রকাশ করলেন হাবাস। জানালেন, পুরো দলকে গোটা টুর্নামেন্টে পাওয়াই গেল না। তাঁর মতে, ‘‘বাইকি এবং গুডজনসেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে মরসুমের শুরুতেই হারানোটা বড় ধাক্কা ৷ আমাদের খেলার স্টাইলও এর ফলে বদলে যায় ৷ খেলোয়াড় বদল করার জন্য ফর্মেশনও বদলে যায় ৷ আমি আমার টিমের ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানাতে চাই যে অনেক সমস্যা থাকলেও আগাগোড়া তাঁরা দুর্দান্ত পেশাদারিত্ব বজায় রেখেছে মাঠে ৷ মার্কি মহম্মদ সিসোকো সেক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক হিসেবে কাজ করেছেন বাকি সকলের কাছে ৷ ’’ হাবাস আরও জানান, যেভাবে এটিকে তাদের পুরোনো খেলোয়াড়দের ধরে রেখেছে ৷ তেমনি পুণেও এই দলকে পরের বছরও ধরে রাখলে এদেরকে নিয়েই ভাল ফল সম্ভব ৷
advertisement
যাইহোক, প্লে-অফে ওঠার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবুও তিন পয়েন্ট নিয়েই প্রিয় শহর থেকে ফিরতে চান এই স্পেনীয়। মনে মনে হয়তো চান এটিকে কর্তাদের জবাব দিতে। মুখে যদিও বললেন, তাঁর সময়কার এটিকে এবং মলিনার এটিকের মধ্যে তুলনা টানা কখনই উচিৎ নয় ৷ কারণ দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা দল ৷