১০০০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না৷ তেমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ নওশাদ সিদ্দিকি জানান, ‘‘আমরা কোর্ট অর্ডার মেনে চলব। ১০০০ জন কর্মী সমর্থক ঢুকবেন, আর বাকিরা ঢুকতে পারবেন না, এমনটা হলে তাঁরা মনোক্ষুণ্ণ হবেন, তাই নেতাজি ইন্ডোর ফাঁকাই রাখা হবে৷’’
তিনি জানান, গ্রামেগঞ্জে স্ক্রিন লাগিয়ে কর্মীদের কাছে বার্তা দেওয়া হবে। নেতাজি ইন্ডোরে ভিতরে ম্যাট পাতা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ বিশেষ ক্যামেরা ব্যবস্থা করেছে শুনেছি।
advertisement
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়েছিলেন ভিড়ের মধ্যে! হঠাৎ যখন ম্যারাথনে দৌড়তে শুরু করলেন…অবাক সকলে
নওশাদ বলেন, ‘‘আমরা কোনও ভাবে কোর্ট অর্ডার অমান্য করব না। বিভিন্ন জায়গায় স্ক্রিন করেছি মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। মিডিয়া ছাড়া আর হাতে গুনে মঞ্চে নাওশাদ সিদ্দিকি সহ ১০/১২ জন আইএসএফ কর্মীরা রয়েছে। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোনও জমায়েত না করে প্রতিবাদ করে প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠান করল ISF।
মেঝের উপরে চেয়ার ছাড়া মঞ্চে ম্যাটে বসেছিলেন শুধু নওশাদ সিদ্দিকী সহ হাতে গুণে জনা ১২ জন ISF নেতৃত্বেরা। কলকাতা পুলিশের তরফে বিশেষ ক্যামেরা ব্যবস্থা মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে। এমনকি, নেতাজি ইনডোরে গেটে বন্ধ করে প্রত্যেকের আইডি কার্ড দেখে তবেই ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল। চেক করা হচ্ছিল গাড়ির নম্বরও। এক বছর আগে আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন রণক্ষেত্র আকার নিয়েছিল ধর্মতলা চত্বর।
হাতিশালায় সেদিন তুমুল সংঘর্ষ বেঁধেছিল isf ও তৃণমূলের মধ্যে। ধর্মতলায় নাওশাদ বক্তৃতা দেওয়ার সময় আচমকা উত্তপ্ত হয়ে পরে। খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশের সঙ্গেও। জমায়েত হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। পুলিশকর্মী ও আইএসএফ দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়। সেই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন নওশাদ। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে অবশেষে জামিন পান।
সেই আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রথমে ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে অনুষ্ঠান করার অনুমতি চেয়েছিল আইএসএফ৷ তবে সেই অনুমতি পায়নি। এরপর হাই কোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের মারফত নেতাজি ইন্ডোরে সভার অনুমতি পায়। কবে সেখানেও জমায়েতের সদস্য সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয় হাজারে৷ সেই অনুসারে রবিবার কার্যত নিঃশব্দে প্রতিবাদ করে নেতাজি ইনডোরে সভা করল আইএসএফ।
ARPITA HAZRA