তৃণমূলের কোনও দলীয় পদে না থেকেও কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ভাইফোঁটার দিন হাজির শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ঘড়ির কাঁটা তখন দেড়টা ছুঁই ছুঁই। একই গাড়িতে চড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পৌঁছলেন শোভন- বৈশাখী।
প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বন থেকে বাঘকে সরানো যায়, বাঘের মন থেকে বন সরানো যায় না। আজকের ভাইফোঁটার দিনটার সাথে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছনো আমার জীবনের একটা আবেগ জড়িয়ে আছে।’ তিনি যে দলে না থেকেও তৃণমূল এবং মমতার সঙ্গেই রয়েছেন তাও কার্যত এদিন স্পষ্ট করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর বৈশাখীর কথায়,’ পদে থেকে দিদিমণির ভালোবাসা না পাওয়ার চেয়ে পদে না থেকে শোভন দিদিমণির যে ভালোবাসা পান সেটাই অনেক বড় ব্যাপার।’
advertisement
বছর ঘুরলেই চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। তাঁকে কি দেখা যাবে সক্রিয় রাজনীতিতে? প্রশ্নের উত্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর যে ভালোবাসা তা অটুট থাকবে বলে জানালেন মমতার প্রিয় ‘কানন’। বলাবাহুল্য, তৃণমূল থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে এক সময় বিজেপিতে যোগ দেন শোভন- বৈশাখী। বর্তমানে বিজেপির সঙ্গেও দূরত্ব বেড়েছে শোভন-বৈশাখীর। বিজেপির কোন কর্মসূচিতেই আর দেখা যায় না শোভন- বৈশাখী জুটিকে।
তবে যেভাবে ভাইফোঁটার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে এসে দলের কোনও পদে না থেকেও বুধবার যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শোভন- বৈশাখী তাতে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফের নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরা নিয়ে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে জোর জল্পনা যে তৈরি হল তা বলাই যায়। তবে সব প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই।