কথায় ছিল সব তীর্থ বারবার, গঙ্গাসাগর একবার। যদিও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনায় গঙ্গাসাগর যাওয়া এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে। তবুও বাস ও ভেসেল বদলে যেতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন অনেকেই। আর মেলার সময় তো কোনও কথাই নেই। গোটা দেশের মানুষ এসে ভিড় করেন এখানে। মেলা দেখতে আসেন বিদেশিরাও। এবার তাদের কথা চিন্তা করে ক্রুজে গঙ্গাসাগর নিয়ে যাচ্ছে আইআরসিটিসি। “শুধু ভারতীয় নয় বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ এই মেলা দেখতে আসেন। তারা চান একেবারে ভালো করে মন্দির দেখতে। অনেকে তো আবার স্নান করতে চান তাই আমরা জলপথে নিয়ে গিয়ে এটা দেখাব।” জানাচ্ছেন আইআরসিটিসি আধিকারিকরা৷
advertisement
অন্যদিকে দেশের অন্যান্য রাজ্য ও বিদেশ থেকে প্রচুর পর্যটক ওয়াইল্ড লাইফ বা সুন্দরবনের মতো জঙ্গল দেখতে চান। তাদের জন্য এবার চালানো হবে ক্রুজ৷ কলকাতা মিলেনিয়াম পার্ক জেটি থাকে ছাড়বে এটি। সকালের দিকে ছাড়বে এটি। পৌছবে ওই দিন রাতে। পরের দু'দিন সুন্দরবনের দো-বাঁকি জঙ্গল ছাড়াও একাধিক স্থান ঘুরে দেখাবে। রাতে কলকাতায় ফিরবে এটি। মোট ২৬ টি ঘর আছে এই জলযানে। তবে খরচ একটু বেশিই। থাকা খাওয়া ঘরে দুজনের জন্য মাথাপিছু প্রায় ২৫০০০ টাকা করে। তিনজন একটি ঘর নিলে খরচ পড়বে ১৫০০০ টাকা, মাথা পিছু। এছাড়া বাচ্চার জন্য আলাদা খাট নিলে খরচ পড়বে ৬৭৮০ টাকা। বাচ্চা থাকবে অথচ খাট না লাগলে খরচ পড়বে ৩৯২৫ টাকা। তবে এই সুবিধা ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য।
আরও পড়ুন: জোর জল্পনা! সিএবিতে ফের ভোটে দাঁড়াতে পারেন সৌরভ, কী জানালেন মহারাজ?
এছাড়া প্যাকেজে থাকছে ব্রেকফাসট, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবার। এছাড়া আলাদা বোটে ঘোরানোর ব্যবস্থা। ক্রুজে এন্টারটেইনমেন্ট ব্যবস্থা। পানীয়ের ব্যবস্থাও থাকছে। ক্রুজের প্রতিটি ঘর নদীমুখী হলেও সময় কাটানোর জন্য থাকছে আরও নানা ব্যবস্থা। থাকছে স্পা, জিম ও লাইব্রেরি। ভেতরে আছে একটা বার। এছাড়া থাকছে ভজন ও বাউল গানের আসর।তিন দিন, দুই রাত্রির এই ট্রিপের জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানাচ্ছে আই আর সি টি সি। “যা সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাতে প্রত্যেকেই খুশি হবেন” দাবি দীপঙ্কর মান্নার।
জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে এই অংশে ভেসেল চলাচল। ফলে কলকাতা থেকে প্রায় ৮ ঘন্টা যেতে ও আসতে সময় নেবে এটি। বেসরকারি সংস্থার এই জলযান অবশ্য গঙ্গাসাগর যাতায়াত করছে এখন। যারা যাবেন তাদের মন্দির দেখানোর জন্য থাকছে গাইড। দশজন পিছু একজন করে গাইড দেওয়া হবে। এমনকি স্নান করার সময় নিরাপত্তার জন্য থাকছে গাইড।
আই আর সি টি সি পরিকল্পনা করছে বর্ষার সময় বাদ দিয়ে সারাবছর এই ক্রুজ চালাবার। তারা আশাবাদী যাত্রী পেতে কোনও অসুবিধা হবে না। আর বেশি যাত্রী হলে আগামীদিনে কমতে পারে ভাড়া ।