নিউজ১৮-কে মীরাদেবী বলেন, "ইরা (Ira Basu) আমার নিজের ছোট বোন। সে যথেষ্ট অভিজাত পরিবারের মেয়ে। সুশিক্ষিতা মেধাবী এবং স্কুলশিক্ষিকা। এই ধরনের জীবনযাপন ও নিজের ইচ্ছেয় করছে। সল্টলেকে ওঁর নিজের একটি বাড়ি আছে। ওঁর কোনও অভাব নেই। ও চাইলে ওই বাড়িতে থাকতে পারেন। অত্যন্ত স্বাধীনচেতা মহিলা, নিজে যেটা মনে করেন সেটাই করেন, কারও কথা শোনেন না উনি।"
advertisement
মীরাদেবীর যুক্তি, চাইলেই ইরা বসু যে কোনও দিন তাঁর নিজের বাড়িতে ফিরে যেতে পারেন, কিন্তু যাননি সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এতে পারিবারিক সম্মানহানি হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু ইরাদেবীর মনবদল সম্ভব হয়নি। ইরাদেবীর নাছোড় জেদের কথা আগেও বলেছেন খড়দহের সাধারণ মানুষজন থেকে প্রাক্তন বিধায়ক। জেদের বশেই তিনি পেনশন নেননি, কোনও এক কাকভোরে বেরিয়ে গিয়েছেন এক আশ্রয়দাত্রীর বাড়ি থেকে। থাকা শুরু করেছেন ডানলপের ফুটপাতে।
আরও পড়ুন-কতটা শক্ত জঙ্গিপুর-সামশেরগঞ্জের জমি, তৃণমূল নামছে ভোটের হাওয়ায় পাল ওড়াতে
খোঁজ নিয়ে দেখা গেল, দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে সল্টলেকের বিবি ৮৪- এর বাড়িটি, ইরাদেবীর ঠিকানা ছিল একদিন এই বাড়িই। নতুন প্রজন্মের কেউই এই বাড়িতে কাউকে ঢুকতে বেরোতে দেখেনি। তবে একটা সময় এই বাড়িতেই থাকত পুলিশ পোস্টিং। কারণ এই বাড়িটি মালকিন ছিলেন তৎকালীন সময়ের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শ্যালিকা ইরাদেবী। তবে এই এলাকার পুরনো বাসিন্দাদের মধ্যে কয়েকজন দেখেছেন তাঁকে।
গত দু'বছর ধরে ডানলপের ফুটপাতেই থাকছেন ইরা। তাঁর এই পরিণতি জানার পর থেকেই প্রশাসন তৎপর হয়েছে। আপাতত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে লুম্বিনী পার্কে চিকিৎসার জন্য। খড়দহের প্রিয়নাথ বালিকা বিদ্যালয়ের জীবনবিজ্ঞান শিক্ষিকা পেনশন পাননি। সেই পেনশনের যাতে ব্যবস্থা করা যায়, তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর হচ্ছেন ইরাদেবী শুভাকাঙ্খীরা