ভোটের অনেকটা আগে থেকেই প্রশান্ত কিশোর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তৃণমূল ২০০ আসন পার করবে। বিজেপি ১০০ আসন ওপাবে না। এমনকি তিনি এমনও বলেছিলেন, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী যদি ভুল হয় তবে তিনি এই পেশাই ছেড়ে দেবেন। বলাই বাহুল্য ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর জ্যোতিষীর মতো অঙ্ক মিলিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিপক্ষ শিবিরে ধ্বস নামিয়েও প্রশান্ত কিশোর ঘোষণা করেন তিনি আইপ্যাক ছাড়তে চান, চান নতুন কিছু করতে। আর সেই কারণেই প্রশ্নটা উঠছে, প্রশান্ত কিশোর এই নতুন মেয়াদে থাকবেন তো, নাকি না প্রশান্ত কিশোরের আসন ফাঁকা রেখেই তাঁর দেখানো পথেই আইপ্যাক চলবে। পিকে যদি নাই থাকেন তাহলে তাঁর বিকল্প হিসেবে তিনি কার কথা ভাবছেন, প্রশ্ন এই নিয়েও।
advertisement
বিজেপি বিরোধীদের একসুতোয় বাধার কাজ প্রশান্ত কিশোর করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরেই। ২০১৫ সালে বিহারের নীতীশ কুমারকে আনার পিছনে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সম্পর্ক এখন অতীত। অন্ধপ্রদেশে জগনমোহন রেড্ডিকে সিংহাসনে বসানো, এমকে স্ট্যালিনের হাতে তামিলনাড়ুর মসনদ তুলে দেওয়া, কেজরিওয়ালকে দিল্লির শাসনে থিতু করা সর্বোপরি ২০১৯-এ কঠিন সময়ে হাল ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় বারের জন্য জেতানো-নীরবে এই পাহাড়প্রমাণ কাজ করে গিয়েছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পরে তিনি জানান, এই নির্বাচন-ম্যানেজমেন্টের দুনিয়া তিনি ছাড়তে চাইছেন। প্রশান্ত তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে পারেন, এমন জল্পনাও শোনা গিয়েছে। একটা বিষয় পরিষ্কার, যদি তৃতীয় ফ্রন্টের সুতোবন্ধনের কাজটা তিনি করেই থাকেন তবে তাঁকে লড়াইয়ের ময়দানেও পেতে চাইবে তৃতীয় ফ্রন্ট। সে ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা কী হবে, তাই নিয়ে অসীম কৌতূহল গোটা দেশেই।
এদিকে পাঞ্জাব কংগ্রেসের সঙ্গেও তাঁর টিমের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের চুক্তি হয়ে রয়েছে। আজ যখন আইপ্যাক-তৃণমূলের আরও পাঁচ বছরের চুক্তি নিশ্চিত, তখন যাবতীয় আলো শুষে নিচ্ছে তাঁর থাকা না থাকার প্রশ্নটাই।
-Exclusive by Kamalika Sengupta