কিডনির সমস্যা নিয়ে বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাইশ বছরের যুবক তারিক হাসান। তাঁকে কিডনি দিতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন বছর ছত্রিশের আইনুর হক। এরপরই সে তারিকের পরিবারের দুটি মোবাইল ও প্রায় আট লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ ওঠে।
পূর্ব যাদবপুর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বনগাঁর রামনগর রোড থেকে অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া মোবাইল, নগদ টাকা ও ডলার। জানা গেছে, এক দালালের যোগসাজশে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক করেছিল আইনুর।
advertisement
আইনুর জালে ধরা পড়তেই পর্দা ফাঁস হয় বেআইনি কিডনি চক্রের। আইন অনুযায়ী, ভিনদেশ থেকে অঙ্গদানের জন্য দাতাকে আনতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যা মানা হয়নি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ভিন দেশ বা ভিন রাজ্য থেকে কিডনি দাতা আনতে গেলে বিদেশমন্ত্রক ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নথি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাইপাস সংলগ্ন এই বেসরকারি হাসপাতালের কোনও কর্মী এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা তাও দেখা হচ্ছে।