আর তারপরই বিড়ম্বনার শুরু। প্রথমেই জরুরি বিভাগে গেলে সেখানে প্রথমে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন আরমান আলি। এরপর যাও বা জরুরি বিভাগে ঢোকেন, সেখানে তাঁকে বলা হয় সেখানে একমাত্র করোনা রোগী ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে। আহত আরবাজ আলীকে সেখান থেকে সার্জিকাল বিভাগের আউটডোরে যেতে বলা হয়। দু-টাকা দিয়ে আউটডোর টিকিট কেটে আরবাজ আলী রক্তাক্ত হাত নিয়ে সার্জিক্যাল বিভাগের আউটডোরে পৌঁছন। সেখানে তার সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
সোমবার বিকেলে আরবাজ আলী কাঁদতে কাঁদতে জানান, সার্জিক্যাল বিভাগের আউটডোর থেকে তাঁকে সেখানে যাওয়ার জন্য তাঁকে অপমান করা হয়। কেন তিনি সেখানে এসেছেন? প্রাথমিক চিকিৎসা দূর অস্ত, তাঁকে রীতিমত নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে সেখান থেকে বার করে দেওয়া হয় এনআরএসে যাওয়ার জন্য। এরপর আরবাজ আলী বৃষ্টির মধ্যে ক্ষতবিক্ষত হাত নিয়ে জরুরি বিভাগের সামনে বসেছিলেন।
নিউজ 18 বাংলার পক্ষ থেকে এই খবর সম্প্রচার করার সঙ্গে সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের ভিতরে হাসপাতালে বউবাজার থানার যে পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে, সেখানে জানানো হয়। নড়েচড়ে বসে পুলিশ। একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়। তাতে করেই আহত আরবাজ আলিকে শিয়ালদহ এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার পর তাঁকে ছেঁড়ে দেওয়া হয়েছে।